আবদুল ওদুদ : “বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাংলাদেশ এর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। বিজনেস সামিট বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গের পাশে রয়েছে বাংলাদেশি শিল্পপতিরা ও এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। প্রায় চল্লিশটি দেশ থেকে সরকারী ও বিজনেস ডেলিগেট দুইদিন ব্যাপী এ গ্লোবাল বিজিনেস সামিটে অংশ গ্রহন করছেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী দশ সদস্যের সরকারী প্রতিনিধিদল এবং বিশ সদস্যের বিজিনেস ডেলিগেশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অভিন্নতার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, বাংলা প্রাগ্রসর চিন্তা-চেতনার ধারক হিসেবে একসময় সমগ্র ভারত বর্ষের সমীহের স্থলে অভিষিক্ত ছিলো।বর্তমান বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ এ গৌরবের উত্তরাধিকার। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যবসা-বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে অগ্রসর হচ্ছে এবং উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সমাদৃত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। করোনাকালে সাত দশমিক এক জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনকে তিনি সাধুবাদ জানান।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের পরিমান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীগণ ভারতে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগে আগ্রহী। সাম্প্রতিককালে সরকার বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীগণ কর্তৃক বিদেশে বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করেছে। ফলে বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীগণ আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকাসহ এশিয়ার দেশগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আগ্রহ রয়েছে বলে তিনি জানান।এর আগে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সাথে সাক্ষাত করে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং এক নৈশভোজে অংশ নেন।
কোভিডোত্তরকালে ২০-২১ এপ্রিল, ২০২২ এ পশ্চিমবঙ্গে আয়োজিত এ গ্লোবাল বিজনেস সামিট বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ এ বিজনেস সামিটে পার্টনার কান্ট্রি। এ সন্মেলনে টাটা, আদানি, উইপ্রো, হিন্দুস্থান ইউনিলিভারসহ ভারতের উল্লেখযোগ্য প্রায় সকল বৃহৎ বিজনেস প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করছে। বিটুবি এবং বিটুজি অংশীদারিত্ব ও বিনিয়োগের পথে এটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ আশাবাদী।