পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মোদির ঘৃণা ভাষণের বিরুদ্ধে গুচ্ছ অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনে। তার ভিত্তিতে কমিশন সরাসরি মোদিকে চিঠি না দিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডাকে। সেই নোটিশের জবাব এরো মেলেনি। তার আগেই বিজেপি সভাপতি নাড্ডা নিজেই ব্যবহার করলেন ‘মুসলিম’ শব্দ।
শুক্রবার মুম্বইয়ে নড্ডা বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং তাদের ‘ইন্ডি’ (‘ইন্ডিয়া) জোটের গোপন উদ্দেশ্য হল তপসিলি জাতি-জনজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসরদের (ওবিসি) অধিকার কেড়ে নিয়ে তা মুসলিমদের দিয়ে দেওয়া। ওঁদের প্রধানমন্ত্রী মনমোহনই তো বলেছিলেন, ‘দেশের সম্পদের উপর প্রথম অধিকার মুসলিমদের’। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদিজি কিন্তু দেশের সম্পদের উপর গরিবদের অগ্রাধিকারের কথা বলেন।’ নাড্ডার এদিনের ভাষণ থেকে স্পষ্ট হয়ে গেল বিজেপি কমিশনকে পাত্তা দিচ্ছে না।
রাজস্থানে ভোট প্রচারের জনজাতি এবং অনগ্রসর ভাবাবেগ উস্কে দিতে মোদি বলেছিলেন, ‘যখন কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ার দলগুলি ক্ষমতায় ছিল তখন দলিত এবং সমাজে পিছিয়ে থাকা শ্রেণির সংরক্ষণ কমিয়ে, মুসলিমদের দিতে চেয়েছিল। ভোট ব্যাঙ্কের জন্য তারা সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে মুসলিমদের আলাদা সংরক্ষণ দিতে চেষ্টা করেছিল। বাবাসাহেব আম্বেডকর দলিত সমাজের পিছিয়ে থাকা অংশ এবং জনজাতির সংরক্ষণের অধিকার দিয়েছিলেন।’
ধর্মকে ব্যবহার করে মোদি আদর্শ নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করেছে। এই মর্মেই কমিশনে অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার ভিত্তিতেই নাড্ডাকে চিঠি দিয়েছে কমশিন। কিন্তু একদিন যে না যেতেই ‘মুসলিম’ শব্দ ব্যবহার করে মেরুকরণের রাজনীতির অভিযোগ উঠল বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার বিরুদ্ধে। গত রবিবার মোদি বলেছিলেন, ‘যখন ওদের সরকার ছিল, তখন বলেছিল যে সবার আগে দেশের সম্পত্তির উপর অধিকার আছে মুসলমানদের। এটার অর্থ হল যে এসব সম্পত্তি একত্রিত করে কাদের মধ্যে বণ্টন করবে? যাঁদের বেশি সংখ্যক সন্তান আছে, তাঁদের দেবে। অনুপ্রবেশকারীদের দেবে।
পরিশ্রম করে আপনার কামানো টাকা কি অনুপ্রবেশকারীদের দেওয়া উচিত?’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এটা কংগ্রেসের ইশতেহারে বলা হচ্ছে। ওরা মা-বোনেদের সোনার হিসাব করবে, সেটা নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে, তারপর ওই সম্পত্তি বণ্টন করে দেবে। আর তাঁদের দেবে, যাঁদের (নিয়ে) মনমোহন সিংয়ের সরকার বলেছিল যে সম্পত্তির উপর সবার প্রথম মুসলিমদের অধিকার আছে। আমার মা-বোনেরা, আপনার মঙ্গলসূত্রকেও ছাড়বে না শহুরে নকশালদের ভাবনা। ওরা অতদূর পর্যন্ত চলে যাবে। আমি বলছি।’