পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মায়ানমার থেকে ব্যাপকহারে সেনারা পালিয়ে আশ্রয় নেওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কথা বলেন। এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুললেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেফিউ রিও। কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যেন এই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার করে, তার আহ্বান জানিয়েছেন রিও।
উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড-আইজ্যাক মুইভা (এনএসসিএন-আইএম) ভারত-মায়ানমার সীমান্তে বেড়া দেওয়ার বিরোধিতা করে। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও শুক্রবার এই কথাগুলি বলেন। এই বিষয়ে রাজ্যের অবস্থান সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রিও বলেন, সরকারকে জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। সীমান্তে বেড়া দেওয়ার আগে কেন্দ্রের সব পক্ষের কথা মাথায় রেখে একটি সমাধানের সূত্র খুঁজে বের করতে হবে। রিও আরও বলেন, যদি প্রয়োজন হয় তবে আমাদের একটি ফর্মুলা তৈরি করতে হবে কীভাবে জনগণের জন্য সমস্যাটির সমাধান করা যায় এবং অনুপ্রবেশ রোধ করা যায়, কারণ নাগাল্যান্ড মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত ঘেঁষা, এবং উভয় দিকেই নাগা রয়েছে। বিজেপির মিত্র রিও বলেন, অনেক লোক ভারতের দিকে বাস করলেও তাদের জমি-জমাগুলি অন্যদিকে। তাই সমাধানের কার্যকরী সূত্র থাকতে হবে। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, সরকার ভারত-মায়ানমার সীমান্তে মানুষের অবাধ চলাচল বন্ধ করবে, সীমান্তে সম্পূর্ণভাবে বেড়া দেবে যেন বাংলাদেশের সীমান্তের মতো সুরক্ষিত হয়।
উপ মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই প্যাটন সোমবার বলেছিলেন, নাগাল্যান্ড সরকার মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত আছে এমন অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে। তারপরে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে যাবে। তবে বিভিন্ন নাগা সুশীল সমাজ সংগঠন এবং এনএসসিএন-আইএম কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেছে যে এটি সীমান্তের দুই পাশে বসবাসকারী নাগাদের “বিভক্ত” করবে।