পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের করোনা আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, কেরলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সংক্রমণ। সতর্ক করা হয়েছে ব্যাঙ্গালুরু। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী নয়া করোনার কেস ৭২৪০। গতকালের থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে সংক্রমণ। মহারাষ্ট্র ও কেরলে সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে। ২ মার্চের পর এটি সর্বোচ্চ সংক্রমণ। বুধবার ভারতে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় ফের বিমান বন্দরে মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেউ সেই নির্দেশের অমান্য করলে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে।
দিল্লি হাইকোর্ট কয়েক দিন আগেই জানিয়েছে, যে যাত্রীরা কোভিড সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলি মেনে চলতে অস্বীকার করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিভিল এভিয়েশন নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ বুধবার জানিয়ে দেয়, যাত্রীরা মাস্ক পরার নিয়ম না মানতে চাইলে তাঁদের টেক অফের আগে ডি-বোর্ড করা হতে পারে। আর এই মাস্ক বিধিপ্রয়োগের দায়িত্বে থাকবেন সিআইএসএফ কর্মীরা।
বুধবারের আদেশে, ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন জানিয়েছে, ‘এয়ারলাইন নিশ্চিত করবে যে বারবার সতর্ক করার পরেও যদি কোনও যাত্রী নির্দেশ না মানেন, তবে টেক অফের আগে প্রয়োজনে তাঁকে ডি-বোর্ড করা উচিত।
দিল্লি হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেন বিচারপতি সি হরি শঙ্কর৷ যিনি কলকাতা-দিল্লির একটি বিমানে বহু যাত্রীকে মাস্কহীন অবস্থায় দেখেছিলেন৷ তাঁর মামলার ভিত্তিতে দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গত ৩ জুন ডিজিসিএ-কে যাত্রীদের মাস্ক পরা নিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়৷ তারপরই এদিন ডিজিসিএ-র তরফে জারি করা হয় ওই নির্দেশিকা৷ নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোভিডবিধি মেনে চলতে হবে। যাত্রীদের মুখে মাস্ক থাকা বাধ্যতামূলক। উড়ান সংস্থাগুলিকে বিমানে মাস্ক মজুত রাখতে হবে৷ কোভিড বিধি মানতে অস্বীকার করা ব্যক্তিদের বিমান থেকে নামিয়ে দিতে পারবে উড়ান সংস্থা৷ পাশাপাশি তাঁকে নো-ফ্লাই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বা সিআইএসএফের হাতে তুলে দিতে পারবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ৷