পুবের কলম প্রতিবেদক: দেশের অনেক বড় বড় পুরসভা জলের ওপর মিটার বসালেও কলকাতা পুরসভা সেই পথে হাঁটেনি। বরং পাইপ লাইনের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে বিনামূল্যে টাইমে টাইমে জল পৌঁছে দেওয়া শহরে। কিন্তু সেই সুবিধার অনেকেই ভুল ফায়দা তুলছেন। হরদম শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জল অপচয়ের অভিযোগ আসছে। তার জেরে গরম পড়তেই প্রতি বছর জল স্বল্পতায় ভোগে শহরের একটা বড় অংশ। এই অব্যবস্থা রুখতে সম্প্রতি কলকাতা পুরসভার অধিবেশনে একটি প্রস্তাব রাখেন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইলোরা সাহা। সেই প্রস্তাব গৃহীত করেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
কলকাতা পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইলোরা সাহার বক্তব্য, ‘’কলকাতা শহরে জলের কোনও অভাব নেই৷ উত্তর থেকে দক্ষিণ সার্বিকভাবে দেখা যায় ব্যবহারের পরেও স্ট্যান্ডপোস্ট থেকে অনেকটা জল অপচয় হয়ে বয়ে যায়৷ এখন পরিবেশবিদরা বলছেন, ভবিষ্যতে গোটা পৃথিবীতে জলের সংকট দেখা দিতে পারে৷ গরম কালে জল এমনিতেই বেশি প্রয়োজন হয়৷ এই দাবদাহে জল অপচয় না করে, প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে৷ তাহলে জল নিয়ে কোনওদিন সংকটের মুখে পড়তে হবে না।’’ তাঁর প্রস্তাব ছিল, প্রতিদিন যে স্ট্যান্ডপোস্টগুলি থেকে জল নষ্ট হচ্ছে৷ সেগুলি চাবি বা স্টপ কর্ক লক করে জল অপচয় বন্ধ করা হোক৷
এরপরেই বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় পুরকর্তৃপক্ষ। এ বিষয় মেয়র ফিরহাদ হকিম বলেন, ‘’শহরে যে পরিমাণ জল উৎপাদন হয়, নাগরিক সংখ্যা অনুযায়ী তা যথেষ্ট৷ তবে, বহু জায়গায় জল অপচয় হয়৷ অনেকে ফ্লো কমে যায় বলে স্ট্যান্ডপোস্টের মুখ ভেঙে দিচ্ছে৷ জল সরবরাহ বিভাগকে বলা হয়েছে এগুলি ঠিক করে দিতে৷ একইসঙ্গে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ ইচ্ছা করে বারে বারে কলের মুখ ভেঙে দিলে সেই স্ট্যান্ডপোস্ট তুলে দেওয়া হবে। বাড়ির ক্ষেত্রে স্টপ কর্ক এর ব্যবহার হবে।’’
উল্লেখ্য, কলকাতায় প্রায় ১৮ হাজার স্ট্যান্ডপোস্ট আছে৷ প্রতিদিন নাগরিকদের জন্য প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন গ্যালন জল সরবরাহ করা হয় সেগুলির মাধ্যমে৷ যা কলকাতাবাসীর প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত৷ কিন্তু তার পরেও গরম পড়তেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় জলের সমস্যা অভিযোগ আসে৷ পুরসভার আধিকারিকদের কথায়, এর অন্যতম কারণ জল অপচয়৷