ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই-এর মনোনীত প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান ও তাঁর সঙ্গে পিটিআই চেয়ারম্যান গহর আলি খান।
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পাকিস্তানে নির্বাচনের প্রায় ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও সরকার গঠনের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। দেশটিতে প্রতিবিদনই বদলাচ্ছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। এমন অবস্থায় নতুন জোট করার মাধ্যমে ফের সরকার গঠনের প্রচেষ্টা শুরু করেছেন জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া পিটিআই সমর্থিত ‘আজাদ’ প্রার্থীরা। সরকার গঠনের জন্য পাকিস্তানের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সঙ্গে জোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমরান খানের পিটিআই। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসন পাওয়ার জন্যই সুন্নি ইত্তেহাদের সঙ্গে জোট গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পিটিআই-এর একাধিক সূত্র। রবিবার ইসলামাবাদে সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই-এর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ওমর আইয়ুব বলেন, ‘গত কয়েক মাস ধরেই পিটিআই কর্মীদের আটক করা হচ্ছে। এখনও আমাদের নেতা-কর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চাপ দেওয়া হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার এটি করতে পারে না।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘পিটিআই কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রদেশে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।’ এর আগে দেশটির আরেক রাজনৈতিক দল মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমিনের (এমডব্লিউএম) সঙ্গে কেন্দ্রে এবং পঞ্জাব প্রদেশে জোট গঠন করার ঘোষণা করেছিল পিটিআই। কিন্তু এই ঘোষণার পর দলের কিছু সদস্য এমডব্লিউএমের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করেন। পিটিআইয়ের একাধিক সূত্র জানায়, সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হামিদ রাজা পিটিআই-এর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনিও গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাতও করেছেন তিনি। এদিকে, নির্বাচনের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও জোট সরকার গঠনে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি পিএমএল-এন এবং পিপিপি। প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি ২৯ ফেব্রুয়ারির আগেই জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহ্বান করবেন বলে জানা গেছে। সংসদে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাবে তাদের দলই সরকার গঠন করবে ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে।