পুবের কলম প্রতিবেদক: নির্বাচন মানেই থাকবে ইশতেহার। স্বাভবিকভাবেই কমিটির কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য বিজেপির তরফে ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে ২৭জনের কমিটি। অথচ সেই কমিটিতে নেই একজনও বাঙালি। নেই পশ্চিমবঙ্গের কেউই। বলা চলে রাজ্য বিজেপিকে ১৮জন লোকসভা আর ২জন রাজ্যসভার সাংসদ থাকলেও বাংলাকেই ব্রাত্য রেখেছে দিল্লির নেতারা। তাহলে কী বিজেপি বাঙালি বিদ্বেষী? সরাসরি এই অভিযোগই তুলছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। শুধু তাই নয়, হিন্দি বলয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন গেরুয়া পার্টির নেতাদের বহিরাগত বলেও আক্রমণ শানিয়েছে জোড়াফুল শিবির।
শনিবার সর্বভারতীয় বিজেপির সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডা লোকসভা ভোটের ইস্তাহার কমিটি ঘোষণা করেছেন। ২৭ সদস্যদের এই কমিটির জায়গায় বিজেপির ইস্তেহার লেখার কমিটিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধিত্বই রাখেনি মোদি-শাহরা। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কী বঙ্গ বিজেপির সুকান্ত মজুমদার আর শুভেন্দু অধিকারীদের ওপর কী বিন্দুমাত্র ভরসা নেই বিজেপির? নাকি তাঁদের সেই যোগ্যতার বলে মনে করেন না মোদি-শাহরা!
তৃণমূলের দাবি, আসলে বাংলার প্রতি এটা বিজেপির বৈমাতৃসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি। দিল্লির বাবুরা এ রাজ্যের বিজেপি নেতাদের ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মতো দেখে। তা না হলে ২৭ জনের কমিটিতে বাংলা থেকে কারও জায়গা হল না কেন? কেন্দ্রীয় নেতাদের চোখে বঙ্গ বিজেপি যোগ্যতা নিয়ে যে প্রশ্ন রয়েছে, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। লোকসভার নির্বাচনে বিজেপির এই বাংলা বিরোধী মনোভাবের উচিত জবাব দেবে সাধারণ মানুষ। তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ কিছুটা হলেও বাংলার বিজেপি নেতৃত্বকে ক্ষুব্ধ করেছে বলেই মনে করছে অনেকে।