পুবের কলম প্রতিবেদকঃ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘সম্পূর্ণ হাইব্রিড যুদ্ধ’ শুরু করেছে। রাশিয়ার অর্থনীতিকে পুরোপুরি ধ্বংসের লক্ষ্যেই সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার মস্কোতে গোরচাকভ পাবলিক ডিপ্লোমেসি ফান্ডের এক বৈঠকে উপস্থিত থেকে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি গত মাসে ইউক্রেনে চালানো রাশিয়ার অভিযানের বদলা হিসেবে পশ্চিমাদের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধ’ হিসেবে মন্তব্য করেন। এমনই খবর আরটি-র।
ল্যাভরভ বলেন, আজকে আমাদের বিরুদ্ধে সত্যিকারের একটি হাইব্রিড যুদ্ধ, একটি পরিপূর্ণ যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই টার্মটি হিটলারের জার্মানি ব্যবহার করেছিল। এখন অনেক ইউরোপিয়ান নেতা রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে কী করতে চায়, সেই ব্যাপারে কথা বলার সময় এটি ব্যবহার করছে।
এ ছাড়া রাশিয়ার অর্থনীতিকে বিচ্ছিন্ন করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল তা কার্যকর হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ওই রকম কিছুই হবে না কারণ বিশ্বের অধিকাংশ দেশই রাষ্ট্রসংঘ সনদের মূল নীতির ওপর ভিত্তি করে আন্তঃদেশীয় সমতার সহযোগিতায় আগ্রহী।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্রশক্তির চাপ সত্ত্বেও যেসব দেশ ‘রাশিয়া বিরোধী হুজুগে’ যোগ দেয়নি তাদের ব্যাপারে ডিপ্লোমেসি ফান্ডের সদস্যদের নোট রাখতে আহ্বান জানান। এসব দেশের মধ্যে চিন ও ভারতও রয়েছে, যারা ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া হুজুগেও মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের অস্বীকার করেছে। যদিও দু’টি দেশই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে এবং এই সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
এ দিকে বেজিং স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক থেকে সরবে না এবং জোর দিয়ে বলেছে ইউক্রেন সংঘাতে দেশটি নিজেদের ‘স্বাধীন’ অবস্থান ধরে রাখবে। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভারত মস্কোর সঙ্গে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়িয়েছে এবং চলতি মাসের শুরুতে ছাড় মূল্যে অপরিশোধিত তেল কিনতে সম্মত হয়েছে।