পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই মায়ানমারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। তবে এখনও পর্যন্ত একজনকেও ফিরিয়ে নেয়নি মায়ানমার। এবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের টেকসই পরিবেশ সৃষ্টিতে মায়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
তবে, বিষয়টি নিয়ে উদাসীন সামরিক জান্তা সরকার। ২০১৭ সালের আগস্টে বার্মিজ সেনার নির্যাতনের মুখে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৭ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের অনুপ্রবেশের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও মায়ানমারের অনীহায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।
এরই মধ্যে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে এবং সব অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে বাংলাদেশ সরব হলেও নীরব প্রতিবেশী ভারত। তবে কক্সবাজারের বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে দীর্ঘদিন ধরেই ‘মধ্যস্থতা’ করছে চিন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে কোনও সুখবর মেলেনি।
২০১৭ সালে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের থাকার জায়গা দিলেও এখন প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ। এবার একই আহ্বান জানাল রাষ্ট্রসংঘ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে সংস্থাটি একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলার অগ্রগতি ও তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ডাক দিচ্ছে, তখনও মায়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে। তাই আদৌ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান গবেষকরা।