দেবশ্রী মজুমদার শান্তিনিকেতন:কাঁসা পিতল ও তামা তিন ধাতুর দুর্গা প্রতিমা শান্তিনিকেতন থেকে পাড়ি জমাবে প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশায়। প্রতিমা তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ৩ লক্ষর কিছু বেশি। শান্তিনিকেতনের মৃত্তিকা স্টুডিওতে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়। প্রায় দুমাসে ছশো শ্রমদিবসে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়। অতিমারীর সময় স্পনসর পাওয়া না গেলে হয়তো এই কাজ সম্পূর্ণ হতো না বলে মনে করছেন শিল্পীরা।
তবে অর্থের কারণে বাদ পড়েছে কার্তিক গণেশ লক্ষী ও সরস্বতী। সুজয় মুর্মু, , রবি মুর্মু,, সহদেব সহ দশ জন শিল্পী মিলে এই কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
মূর্তির ব্যাপারে শান্তিনিকেতন শিল্পী আশীষ ঘোষ বলেন, ওড়িশা থেকে আশীষ পালিত এই প্রতিমার অর্ডার দিয়েছেন।
অগাস্ট মাস থেকে তৈরি করতে শুরু হয় ৯-১০ জন শিল্পী মিলে। একই সাথে জেলার অন্যান্য শিল্পীরা মূর্তির তৈরিতে হাত লাগিয়েছে। যেমন জয়দেব টিকোরবেতা কাঁসা পিতল সামগ্রী তৈরি করে হারাধন মহোদরী। উনি কাজ করেছেন মুর্তির পিতল দিক টা। এছাড়া পাশকুড়ার শিল্পীরা তামা গহণা তৈরি করেন। তাদের শিল্পী কর্ম আছে। এমনকি ডিজাইন দেখাশোনা করেছে বিশ্বভারতীর কলাভবনের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা।
মুর্তিটি ভিন্ন রাজ্য পাড়ি দেবার কারণে পরিবহনের সুবিধার্থে ফোল্ডিং ভাবে তৈরি করা হয়েছে। মুর্তির মোট ওজন প্রায় ৩ কুইন্টাল মতো। তবে ভীষণ ভালো লাগছে এত বড় কাজ করে।
দু বছর ধরে শিল্পীর শিল্প কর্মে কোভিডের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে তিন ধাতুর তৈরি দশভুজা অনেকটাই অর্থিক ভাবে স্বাচ্ছন্দ্যের মুখ দেখাবে “মৃত্তিকা” স্টুডিও সদস্যদের।