দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন: অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের সাসপেন্ডেড অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের সাসপেনশনের মেয়াদ আরও একমাস বাড়াল বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ। আবারও প্রমাণ হল বর্তমান বিশ্বভারতী আছে সেই একই সাসপেনশনের রীতিতেই। অথচ কলকাতা আদালত বিশ্বভারতী সংক্রান্ত এক মামলায় তার পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট বলেছে, অধ্যাপকদের সাসপেনশনের পূর্বের নির্দেশ রিভিউ করতে হবে। অর্থাৎ আদালত যে আগের সিদ্ধান্তের পুনরাবৃত্তি চায় না তা তো স্পষ্ট। কিন্তু বিশ্বভারতী (Visva-Bharati) কর্তৃপক্ষ সে পথেই হাঁট না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার প্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
এই বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দফায় দফায় অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য সাসপেনশনের মেয়াদ বাড়িয়ে চলেছে বিশ্বভারতী। বর্ধিত সেই সাসপেনশন ৫ অক্টোবর মধ্যরাতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই ৫ অক্টোবর রাতে ফের একমাসের জন্যে তাকে সাসপেন্ড করা হল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে বিশ্বভারতীর পাঠভবনের অধ্যক্ষা বোধিরূপা সিংহের নিয়োগ সঠিক পদ্ধতি মেনে হয়নি, নিয়োগে একাধিক বেনিয়ম ছিল এই অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পরিদর্শক তথা রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান তথা রাজ্যের রাজ্যপাল সহ উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছিলেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। তারই জন্যেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে কর্মসমিতির বৈঠকে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় বলে অভিযোগ। সাসপেনশনের স্বপক্ষে বলা হয়, অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য একটি অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই তিনি তা জনসমক্ষে এনেছেন, যার ফলে সেই অধ্যাপিকার মানহানি হয়েছে।
৫ তারিখের চিঠিতে বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হয় যেহেতু এখনও পর্যন্ত কোন ‘ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশান’ নেওয়া হয়নি তাই আরও একমাসের জন্যে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের সাসপেনশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। এক অধ্যাপক এব্যাপারে বলেন, আদালতের ধমক খাওয়া অভ্যেস করে ফেলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।