পুবের কলম প্রতিবেদক: আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সোমবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হয়েছে ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, দু’দিনে তাপমাত্রার ফারাক ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সেটাও সম্ভব হয়েছে বৃষ্টির হাত ধরেই। সাধারণত চৈত্র মাস বসন্তেরই অঙ্গ। বৈশাখ থেকে শুরু হয় গ্রীষ্মের দাপট।
কিন্তু কয়েক দশক ধরেই দেখা যাচ্ছে বসন্ত ক্রমশ ছোট হচ্ছে, আর তার জায়গায় ভরাট করছে গ্রীষ্ম। বাংলা নতুন বছরের অনেক আগে থেকেই সেই গ্রীষ্ম ভেলকি দেখাতে শুরু করে দিচ্ছে বাংলার বুকে। এই যেমন কয়েকদিন আগেও, বাংলাজুড়ে বিশেষ করে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে পারা উঠেছিল ৪০ ডিগ্রির বেশি। খাস কলকাতাতেও তাপের দাপটে নাজেহাল হয়ে উঠেছিলেন মহানগরবাসী। ঠিক এই রকম অবস্থায়, শনিবার রাত থেকেই দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি যা বজায় ছিল রবিবার রাত পর্যন্ত। আর তার জেরেই পারা পতন।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দাবি, এদিন অর্থাৎ সোমবারও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শুধু এদিনই নয়, চলতি সপ্তাহের শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
মঙ্গলবার কলকাতায় আবহাওয়া শুকনো থাকলেও ভিজতে পারে পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের মতো কিছু জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি আবার বাড়বে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার দক্ষিণের সব ক’টি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। আর তাই আগামী কয়েক দিনে গরম আরও খানিকটা কমতে পারে। রাতে স্বস্তির ঘুম হতে পারে আর সেটাও এসি ছাড়াই। সোমবার কলকাতায় সারা দিন আকাশ মেঘলা থাকবে। বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়বৃষ্টিও হতে পারে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হবে না কোনওমতেই