দেবশ্রী মজুমদার, বীরভূম: বাজলো স্কুলের ঘন্টা! জুটল প্রাণ খোলা হাসি! প্রায় দু’বছর ধরে জল ছাড়া মাছের মতো অবস্থা ছিল শিক্ষার্থীদের! মঙ্গলবার থেকে দীর্ঘ গৃহবন্দী জীবন থেকে মিলল মুক্তি! সেই আনন্দের বাঁধ ভাঙল আবিরে। কোথাও ফুল ছিটিয়ে ছাত্রী বরণ, আবার কোথাও সবুজ আবিরে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস ফেটে পড়ছে পড়ুয়াদের চোখে মুখে!
কোভিড বিধি মেনে খুলে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। রামপুরহাট বালিকা বিদ্যালয়ে প্রবেশের মুখেই ছাত্রীদের মাথায় ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানানো হয়। দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলে যাওয়ার আনন্দে সবার মনে খুশির হাওয়া।
রামপুরহাট মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় জানান, কোভিড বিধি মেনে বিএসসি ও কমার্সের সব সেমেস্টারের পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে কলেজ। অনদিকে শুধুমাত্র বিএ ক্লাসের তৃতীয় সেমেস্টার খুলেছে। পাশাপাশি, পঁচিশ থেকে ত্রিশ জন পড়ুয়ার মধ্যে সীমিত থাকায় স্নাতকোত্তর ক্লাসে বাংলা, ইংরেজি ও সংস্কৃত বিষয়ের ক্লাস মঙ্গলবার থেকেই খুলেছে।
তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ইউনিটের সদস্যা সিনহা ও ঋতুপর্ণারা বলেন, অফলাইন চালু হওয়ার আগেও পড়ুয়াদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট। কলেজ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ইউনিটের পক্ষ থেকে সকল পড়ুয়াদের মধ্যে মাস্ক বিলি করা হয়, স্যানিটাইজার দেওয়া হয় এবং কলেজ প্রবেশের আগে থার্মাল গানের মাধ্যমে তাদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। অনেকদিন পর কলেজ খোলায় মিস্টিমুখের সাথে সবুজ আবির খেলা হয়।
এদিন কলেজে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসের কবলে দূরত্ব বিধি শিকেয় ওঠে। পাশাপাশি, কলেজের ওয়েবসাইট ঠিকমত অনুসরণ না করায় কলা বিভাগের স্নাতকস্তরের প্রথম ও দ্বিতীয় সেমেস্টারের ছাত্র ছাত্রীরা হাজির হয়ে বিশৃঙ্খলা হয়। বাধ্য হয়ে মাইকিং করে পরিস্থিতি সামাল দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।