পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এর এজলাসে উঠে চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে অনুমতি বিষয়ক মামলা। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষক পদপ্রার্থীদের মিছিল ঘিরে আদালতের প্রশ্নের মুখে রাজ্য। আগেই এই বিষয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।
তখন কেন পুলিশ আপত্তি জানায়নি, সোমবার সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এদিন এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, -‘ ২৭ সেপ্টেম্বর বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের মিছিল যেন ক্যমাক স্ট্রিটে না ঢোকে’। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘তাহলে আগে রাজি হলেন কেন? তখন কেন আপত্তি করেননি?’রাজ্যের তরফে বলা হয়, -‘শ্রী শিক্ষায়তন সহ চারটে স্কুল আছে ক্যাম্যাক স্ট্রিটের ওই রাস্তায়। ফলে ওই রাস্তায় মিছিল হলে সমস্যা হবে’। রাজ্যের তরফে এও জানানো হয়, ‘সেদিন দু’তিনজন অফিসার এসেছিলেন। তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পারেননি। না হলে সেদিনই আপত্তি জানানো হত।’ মামলাকারীদের অন্যতম আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী রাজ্যকে খোঁচা দিয়ে আদালতে এদিন জানান , ‘ওই রাস্তায় একজন বিশেষ মানুষের অফিস আছে। তাই এখন পুলিশ ওই রাস্তায় মিছিল ঢুকতে দিতে চাইছে না।’
কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, -শ্রী শিক্ষায়তন, অভিনব ভারতী, লা মার্টস, সুশীলা বিরলা সহ কোনও স্কুল এই রাস্তায় পরছে না’। এরপরই বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের মিছিলকে ঘিরে রাজ্যকে নতুন করে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। রাজ্য নতুন কী রুট চাইছে? তার ম্যাপ সহ আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার এবিষয়ে আদালতে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।চাকরি প্রার্থীরা যে রুটে মিছিল করতে চাইছেন, সেই রুটে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্কুল।
এর ফলে মিছিল হলে স্কুলগুলির অসুবিধা হবে। এই যুক্তি দিয়েই রাজ্য সরকার আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের সেই যুক্তি মানতে নারাজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সোমবারের শুনানিতে বিচারপতি বলেছেন, -‘যে সব স্কুলের কথা বলা হচ্ছে, মিছিলের কারণে সেখানে কোনও প্রভাব পড়বে না’।
রাজ্যের আবেদন ত্রুটিপূর্ণ বলেই পর্যবেক্ষণ বিচারপতির। রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি পদের চাকরি প্রার্থীরা মিছিল করার আবেদন জানিয়েছিল আদালতের কাছে। সেই মিছিলে ইতিমধ্যে অনুমতিও দিয়েছে হাইকোর্ট। সোমবার সেই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে।