মোল্লা জসিমউদ্দিন: উত্তরবঙ্গের দাড়িভিট ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিআইজি সিআইডির বিরুদ্ধে রুল জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। মামলা দায়ের করার অনুমতি চাওয়া হয়।মামলা করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে রুল ইস্যু করে হাইকোর্ট।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন -‘ আগামী শুনানিতে এই আধিকারিকদের আদালতে হাজির হয়ে জানাতে হবে কেন তাঁদের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট পদক্ষেপ করবে না?’ গত ২০১৮ সালের ২০সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিটে এক স্কুলে বাংলার শিক্ষক চেয়ে সরব হয় পড়ুয়ারা। এই ঘটনাকে সামনে রেখে তুমুল অশান্তির অভিযোগ ওঠে স্কুল ক্যাম্পাসে। পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠে গুলি চালানোর অভিযোগ। দুই প্রাক্তন ছাত্র মারা যায়। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, -‘পুলিশের গুলিতে এই মৃত্যু হয়’। যদিও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রথম থেকেই।প্রথম থেকে সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত করছিল। তবে আদালত ১০ মাস আগে এই মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে দেয়। কিন্তু সিআইডি এখনও এনআইএ-র হাতে কিছু নথি তুলে দেয়নি বলে আদালতে জানানো হয়।
একইসঙ্গে নিহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত নির্দেশও রাজ্য পালন করেনি বলে অভিযোগ আসে। এরপরই রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও এডিজি সিআইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে রুল ইস্যু করে হাইকোর্ট। ৫ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে রাজ্য গেল ডিভিশন বেঞ্চে।দাড়িভিটের ঘটনায় সিআইডি তদন্ত চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্ট তদন্তকারী অফিসারদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। ওই ঘটনার তদন্ত শেষ করতে সিআইডির চার বছর কেন সময় লাগল?.সেই প্রশ্ন তুলেছিল আদালত।
একই সঙ্গে, সিআইডি-র দেওয়া রিপোর্ট নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল হাইকোর্ট। কারণ তাঁদের রিপোর্টে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল না বলেই অভিযোগ ওঠে। তাছাড়া সিআইডি কিছু তথ্য এনআইএ-র হাতে তুলে দেয়নি বলেও জানা যায়। ২০১৮ সালের সেই ঘটনার পর এখন কেটে গেছে ৬ বছর। এখন দেখার রাজ্যের আবেদনে ডিভিশন বেঞ্চ কী নির্দেশ দেয়।খুব তাড়াতাড়ি ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।