পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ‘বর্তমান বিশ্বে প্রকৃত অশান্তির উৎস হয়ে উঠেছে আমেরিকা। তারাই এখন বিশ্বব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক গণতান্ত্রিক সম্পর্ককে বাধাগ্রস্ত করছে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভাষণের প্রতিক্রিয়ায় এই কথা বলেছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই।
তিনি বলেন, চিন-মার্কিন সম্পর্ক অসাড় কোনও বিষয় নয়। আমেরিকার উচিত পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও সহযোগিতার নীতির ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সমাধান করা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলোতে সফরের চতুর্থ ধাপে ফিজি সফরকালে ওয়াং এই মন্তব্য করেন।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সম্প্রতি চিনকে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুতর দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। তার জবাবে ওয়াং উল্লেখ করেন, বিশ্ব, চিন এবং চিন-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় ধরনের ভুল রয়েছে। ওয়াং বলেন, মূলত আমেরিকা যা বর্ণনা করছে, বিশ্বে পরিস্থিতি তেমন নয়।
বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে যৌথভাবে মানব জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষা করা, অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করা এবং বিশ্বে শান্তি রক্ষা করা। বিশ্বজুড়ে একটি যৌথ সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
চিনা বিদেশমন্ত্রী বলেন, চিন-প্রস্তাবিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল ডেভালপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ এবং গ্লোবাল সিকিউরিটি ইনিশিয়েটিভ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে ব্যাপক স্বীকৃতি ও সমর্থন লাভ করেছে, যা মার্কিন আধিপত্যবাদী রাজনীতির জন্য বড় একটি ধাক্কা। আমেরিকার নীতি বিশ্ববাসীকে কেবলই সংঘাতের দিকে নিয়ে যায় এবং বিশ্ব সম্প্রদায়কে বিভক্ত করে।’
আমেরিকা প্রকৃতপক্ষে অশান্তির উৎস হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে ওয়াং বলেন, রাষ্ট্রটি বর্তমান বিশ্বব্যবস্থাকে দুর্বল করছে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গণতন্ত্রীকরণকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমেরিকার সমালোচনা করে ওয়াং বলেন, আমেরিকার সতর্ক হওয়া উচিত যে, একরাষ্ট্র-কেন্দ্রিক আধিপত্য কোনও সমর্থন পাবে না, গোষ্ঠী সংঘাতেরও কোনও ভবিষ্যৎ নেই।