পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আগরতলা থেকে ‘অগ্নিপথ প্রকল্প’ নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় দুর্যোগের মধ্যে ভোট প্রচারে আগরতলায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন উপ-নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন তিনি। এদিন অভিষেক বলেন, ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প বিজেপির একটি অপরিকল্পিত প্রকল্প। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট হবে আর আর সাধারণ মানুষের খেটে খাওয়া ছেলে বিজেপির দরোয়ান হবে? আর কৈলাস বিজয়বর্গীয়’র ছেলে এমএলএ হবে? এই দ্বিচারিতা কিসের জন্য? এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠক থেকেই তীব্র বিষোদগার উগরে দিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বহিষ্কারের দাবি তোলেন তিনি। অভিষেক বলেন, সেনা নিয়ে কুরুচিকর যারা মন্তব্য করেন, তাদের দল থেকে তাড়ানো উচিত। অভিষেক যোগ করেন, চার বছর ধরে অগ্নিপথ করে, তাদের ভারতীয় সেনা হওয়ার অধিকার নেই? তারা বিজেপির অফিসের দরোয়ান করা হবে?
এদিন অভিষেক বলেন, নোটবন্দি থেকে কৃষক আইন সবই কেন্দ্রের অপরিকল্পিত পরিকল্পনা ছিল।
অগ্নিপথ নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের আহ্বান অভিষেকের।
আসন্ন উপ-নির্বাচনে দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে অভিষেক সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেন, ত্রিপুরায় বেকারত্বের হার ১৮ শতাংশ, বাংলায় সেখানে ৪ শতাংশ। এক ঘন্টা বৃষ্টি হলে ত্রিপুরায় হাঁটু সমান জল জমে যায়, রাস্তার খারাপ থাকায় অন্তঃস্বত্তাকে কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়। কিসের উন্নয়ন হয়েছে ত্রিপুরায়। সেই সময় কোনও বিজেপি নেতাকে দেখা যায় না।
বাংলায় সিঙ্গেল ইঞ্জিন সরকার চলছে, সেখানে ত্রিপুরায় ডবল ইঞ্জিন সরকার কি করছে? অভিষেক বলেন, ত্রিপুরা পরিবর্তনের দোরগোড়ায় রয়েছে। ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে তাড়াতে সকল বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। অভিষেক বলেন, মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে, তার জন্য বিজেপি গুণ্ডাবাহিনীকে কাজে লাগানো হচ্ছে। ভুয়ো মিথ্যা মামলা দিয়ে তৃণমূলকে জেলে ঢোকানো হচ্ছে। অভিষেক বলেন, তৃণমূল কারুর চোখ রাঙানিতে ভয় পায় না।
অভিষেক বলেন, বিজেপি কোনও প্রতিশ্রুতি রাখেনি। বলেছিল মিসড কলে চাকরি হবে, হয়নি। অভিষেক সাংবাদিক বৈঠক থেকেই সকলের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিরোধীদের ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে দেওয়া। তাই সকলের কাছে আহবান তৃণমূলকে ভোট দিন। তৃণমূলে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করা। তৃণমূল মানুষের জন্য মাথা নীচু করে কাজ করে।