পুবের কলম প্রতিবেদক : রমযান ক্ষমার মাস। আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়ার মাস। প্রতি বছর রমযানে বহু বন্দিকে মুক্ত করা হয় আরব মুলুকে। রমযানের কথা মাথায় রেখেই সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য এবং আজমানের শাসক শেখ হুমাইদ বিন রশিদ আল নুয়াইমি ৮২ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র রমযান মাসের আগে বন্দিরা শুরু করতে পারেন নতুন জীবন। আজমানের শাসক একথা ঘোষণা করেছেন। এর আগে দুবাই, শারজাহ, রাস আল খাইমাহ এবং আবুধাবির শাসকরা একই ধরনের আদেশ জারি করেছিলেন। আবুধাবির শাসক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মহামান্য শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ৫৪০ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য এবং রাস আল খাইমার শাসক শেখ সৌদ বিন সাকর আল কাসিমি পবিত্র রমযান মাসের আগে ৩৪৫ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। রাস আল খাইমার ক্রাউন প্রিন্স এবং জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রধান শেখ মোহাম্মদ বিন সৌদ বিন সাকার আল কাসিমি আমিরাতের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সমন্বয় করেন। ক্ষমাপ্রাপ্ত বন্দীদের মুক্তির গতি ত্বরান্বিত করার নির্দেশনা ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে।
সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য এবং শারজার শাসক ডক্টর শেখ সুলতান বিন মুহাম্মদ আল কাসিমি, পবিত্র রমযান মাসের আগে ২১০ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শারজাহ পুলিশের কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল সাইফ আল জারি আল শামসি ক্ষমার জন্য শারজাহ শাসকের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
আরব মুলুকে ২ এপ্রিল শনিবার রমযান শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রমযান ইসলামি ক্যালেন্ডারের নবম এবং পবিত্রতম মাস।বাকি ১১ মাসের জীবন যাপন থেকে রমযান আলাদা। এই মাস মুসলিমদের কাছে নিজেকে সংশোধনের মাস। নিজের ইমনকে মজবুত করার মাস। পানাহার বর্জনের সঙ্গে সঙ্গে যদি এই বিষয়গুলির দিকে সম্পূর্ণ নজর দেওয়া যায় তবে সফল হয় সিয়াম (রোযা)। তা নাহলে তা কেবল পানাহার বর্জন ও ইফতারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। যা ইসলামের লক্ষ নয় ।