পুবের কলম প্রতিবেদক, বসিরহাট: অপরাধ করে অপরাধীরা সহজে যাতে বাংলাদেশে চলে যেতে পারে তার জন্য সীমান্তে তৈরি হল নতুন পুলিশ ক্যাম্প।উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পুলিশ জেলার বাদুড়িয়া থানার ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত রোডের কেওটশা বাসস্টপের কাছে নতুন এই পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধন হয় বুধবার। উদ্বোধন করেন বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডক্টর জবি থমাসকে।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌতম ব্যানার্জি, বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র, ,সিআই তিতাস কুমার মিত্র, বাদুড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অধিকারী সিদ্ধার্থ মন্ডল, ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট সমাজসেবী হারুণ মণ্ডল, কেওটশা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোবাশ্বের হোসেনসহ এলাকার জন প্রতিনিধিরা। পুলিশ সুপার জোবি থমাসকে জানান,
বাদুড়িয়া থানার অধীনে এই ক্যাম্প থেকে চাতরা, চন্ডীপুর, যশাইকাটি-আটঘরা ও রামচন্দ্রপুর এই চারটি অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন সমস্যায় প্রশাসনিক সাহায্য পেয়ে যাবেন।
তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ,মামলা করার জন্য জন্য বাদুড়িয়াা থানাতেই যেতে হবে। উল্লেখ্য,এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এখানে একটি পুলিশ ফাঁড়ির। মসলন্দপুর ও তেঁতুলিয়া রোডে বিগত কয়েক মাসে ছিনতাই, রাহাজানি সমাজবিরোধী কাজের উৎপাত বেড়েছিল। এছাড়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। এলাকায় দুষ্কৃত করে অপরাধীরা সহজেই বাংলাদেশে পালিয়ে যেত। পুলিশ ফাঁড়ি হওয়ায় এলাকার অসামাজিক কাজ সহ দুষ্কর্ম কমবে বলে মনে করে এলাকার বাসিন্দারা। সমাজসেবী হারুন মন্ডল বলেন, এই রাস্তার উপরে চাতরা, কেওটশা ও রামচন্দ্রপুরের হাটের দিনে যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের।
এই পুলিশ ক্যাম্প থেকে সরাসরি উদ্যোগ নিলে রাস্তা অনেক যানজট মুক্ত হবে। এছাড়া রাতে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীদের এমনকি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ছিনতাইকারীর কবলে পড়তে হতো। এবার পুলিশ ফাঁড়ি হওয়ায় রীতিমতো রাতের ঘুম কেড়েছে সীমান্তের পাচারকারী থেকে শুরু করে দুষ্কৃতীদের।
কেওটসা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোবাশ্বের হোসেন বলেন, আমরা খুশি। স্কুলের নিরাপত্তাও খতিয়ে দেখেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। একদিকে কো এড স্কুল হিসেবে এখানকার নিরাপত্তাটা যেমন জরুরী তেমনি এই স্কুলে চুরির ঘটনা থেকেও নিরাপদ থাকবে। এবার সাধারণ মানুষ সহজেই প্রশাসনিক সাহায্য পাবেন এছাড়াও সীমান্তের অবৈধ পাচার সহ অসামাজিক কাজ এগুলো বন্ধ হবে মনে করেন সীমান্তের সাধারণ নাগরিকরা।