মস্কো, ২৮ মে: আফগানিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের কথা বিবেচনা করছে রাশিয়া। সেই মতোই সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে আফগানিস্তানের শাসকদল তালিবানকে বাদ দিতে চলেছে মস্কো। একই সঙ্গে তালিবান সরকারকে বৃহত্তম বার্ষিক অর্থনৈতিক ফোরামে আমন্ত্রণ জানিয়েছে রাশিয়া। ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী বিদায় নেওয়ার পর ২০২১ সালের আগস্টে দেশটির ক্ষমতা দখল করে তালিবান বাহিনী। এরপরই তালিবান সরকারের সঙ্গে ধীরে ধীরে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছে রাশিয়া।
দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল তালিবান। তবে দেশটির বিদেশ ও বিচার মন্ত্রক তালিবানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে সুপারিশ করেছে। রুশ মিডিয়ায় খবর, রাশিয়া শীঘ্রই নিষেধাজ্ঞার তালিকা থেকে তালিবানকে বাদ দেবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের এশিয়া বিভাগের পরিচালক জামির কাবুলভ জানিয়েছেন, ৫ থেকে ৮ জুন সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে তালিবানকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
আফগান নেতারা ঐতিহ্যগতভাবে রাশিয়ার জ্বালানি তেল পণ্য কেনায় আগ্রহী ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এদিকে, রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তালিবানের বিষয়ে বলেছেন, ‘ওরাই আফগানিস্তানের আসল শক্তি। আমরা আফগানিস্তানের ব্যাপারে উদাসীন নই। উল্লেখ্য, সেন্ট পিটার্সবার্গ ইকোনমিক ফোরাম অতীতে লন্ডন এবং নিউইয়র্কের পশ্চিমা সিইও ও বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানাতো। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে সেই পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে। এই যুদ্ধ ১৯৬২ সালে কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের সবচেয়ে বড় সংকটের সূত্রপাত করেছে।