পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হত চলেছেন প্রাক্তন জেলা দায়রা জজ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রাক্তন কমিশনার মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তাকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছে। তিনি রাষ্ট্রপতি পদে একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় আর ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। রবিবার সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনের সামনে এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে ওবায়দুল কাদের মো: সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে জানান। মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি পদে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ, তিনি আমাকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছেন। এ মুহূর্তে আমার প্রতিক্রিয়া এটুকুই।’
সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন তিনি। তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের মৃত্যুতে খালি থাকা প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির চেয়ারম্যান পদে তাকে মনোনীত করা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে সংবিধান অনুযায়ী, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়ে শপথ না নেওয়া পর্যন্ত বর্তমান রাষ্ট্রপতি নিজ পদে বহাল থাকবেন। অন্যদিকে, বিরোধী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের দলের কোনও আগ্রহ নেই। তিনি বলেন, ‘এই সরকার কী করছে বা করছে না, সে বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না। দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন তা নিয়ে তারা চিন্তিত নন। কারণ তাদের মূল ফোকাস এখন সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে চলমান আন্দোলনের দিকে।’