পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপ যতই বাড়ছে, ততই বদলাচ্ছে রাজনৈতিক সমীকরণ। এবার ভোটের আগে ফের মাস্ট্রারস্ট্রোক দিতে চলেছে ওড়িশার শাসক দল বিজু জনতা দল (বিজেডি)। জোট নিয়ে আলোচনার চূড়ান্ত পর্ব সমাপ্ত হয়েছে, শুধু ঘোষণা বাকি। বিজেডির এই প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে যদি সত্যিই বিজেডি, এনডিএ-র হাত ধরে ফেরে তাহলে দীর্ঘ ১৫ বছর পর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হবে।
সূত্রের খবর, ওড়িশার জাজপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভার পরই বিজেপি ও বিজেডির মধ্যে জোট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভুবনেশ্বর ও দিল্লিতে এই নিয়ে বেশ কয়েক দফায় বৈঠকও হয়। তারই এবার চূড়ান্ত শিলমোহর পড়তে চলেছে।
১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল অবধি এনডিএ জোটেই ছিল বিজেডি। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে, ১৯৯০ এ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন নবীন পট্টনায়ক। ২০০৮ সালে কান্দামাল দাঙ্গার পরই জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নবীন পট্টনায়ক।
ওড়িশায় মোট ২১টি লোকসভা আসন রয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপি এর মধ্যে দাবি করেছে ১৪টি আসন। জানা গেছে, বিজেপি ১১-এ এবং বিজেডি ৯টি আসনে লড়তে পারে। বর্তমানে ওড়িশার ৮টি লোকসভা আসন বিজেপির দখলে, বিজেডির হাতে রয়েছে ১২টি আসন। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে মাত্র ১টি আসন।