পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হায়দরাবাদের কবরের ছবি পাকিস্তানের বলে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট, ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই ডিজিটাল ট্যুইটারে একটি তালাবন্দি কবরের ছবি দেওয়া হয়েছে। সেখানে এই তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু পরে তথ্য অনুসন্ধানের পর সেটি মিথ্যা রিপোর্ট বলে জানা গেছে। গত শনিবার এই চিত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ‘নেক্রোফিলিয়া’কে (‘নেক্রোফিলিয়া’ এক ধরণের মানসিক যৌন ব্যাধি। যারা এই ব্যাধিতে আক্রান্ত তাদের বলা হয় নেক্রাফাইল যারা মৃতদেহের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে)।
Pakistani parents lock daughters’ graves to avoid rape
Read @ANI Story | https://t.co/2vbtYavyj5#Pakistan #necrophiliacases #sexualharassment #crime pic.twitter.com/1AndHMUXlZ
— ANI Digital (@ani_digital) April 29, 2023
সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালাবন্দি কবরের চিত্রটি পাকিস্তানে ‘নেক্রোফিলিয়া’-এর ক্রমবর্ধমান দৃষ্টান্ত। চিত্রটি তারই একটি উদাহরণ। কীভাবে মায়েরা ধর্ষণ এড়াতে পাকিস্তানে তাদের কন্যাদের কবরে তালা দেয়। অল্ট এই চিত্রটির সত্যতা যাচাই করে জানায়, কবরের ছবিটির সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও যোগসূত্র নেই। এটি ভারতের হায়দরাবাদের ঘটনা। কবরের তালাবন্দি কারণও বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কবরস্থানটি হায়দরাবাদের মদনাপেটের দরব জং কলোনির মসজিদ ই সালার মুল্কের বিপরীতে অবস্থিত। মুক্তার সাহাব যিনি মসজিদ ই সালার মুল্কের মুয়াজ্জিন হিসাবে গ্রিল বা জালির পিছনে কারণ ব্যাখ্যা করে, অল্ট নিউজকে জানিয়েছেন, যে প্রচুর লোক সেখানে যায় এবং অনুমতি ছাড়াই পুরনো কবরের উপর লাশ দাফন করে। যারা আগে থেকেই এখানে তাদের কাছের মানুষ বিশ্রাম নিচ্ছেন তারা ফাতেহা পড়তে আসার পর থেকে তাদের অভিযোগ রয়েছে। অন্যরা যাতে কোনো লাশ দাফন করতে না পারে সেজন্য পরিবারগুলো সেখানে গ্রিল লাগিয়ে দিয়েছে। এই কবরের ছবিটি পাকিস্তানের বলে দাবি করে প্রচার করা প্রসঙ্গে মুক্তার সাহেব এটিকে খণ্ডন করেন বলেন, গ্রিলটিও নির্মাণ করা হয়েছিল যাতে কবরের সামনে স্ট্যাম্প লাগানো না হয় কারণ কবরের ঠিক সামনে ছিল প্রবেশদ্বার।