পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ৪০ বছর ধরে মুসল্লি ও ওমরাহযাত্রীদের ফ্রিতে চা খাওয়াতেন তিনি। এভাবেই হয়ে উঠেছিলেন মদিনার জনপ্রিয় এক ব্যক্তিত্ব। তিনি শায়খ ইসমাইল আল-জাইম। ৯৬ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। অতি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ পায়। আবু আল-সাবা নামে পরিচিত অশীতিপর এই বৃদ্ধ আতিথেয়তার জন্য স্থানীয়দের কাছে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে পবিত্র মসজিদে নববীর পাশে মুসল্লিদের মধ্যে বিনা মূল্যে চা, কফি, খেজুরসহ বিভিন্ন খাবার বিতরণ করে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন তিনি।
শায়খ আল-সাবা সিরিয়ার হামা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। আনুমানিক ৫০ বছর আগে তিনি সৌদি আরবের মদিনা নগরীতে পাড়ি জমান। আতিথেয়তা ও সুন্দর আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি। মানুষকে আহার করানো ছিল তার প্রতিদিনের দায়িত্ব। প্রচুর পরিমাণ কফি, চা, রুটি ও দুধ তৈরি করতেন। এরপর তা নিয়ে মদিনার মসজিদে নববী, বিখ্যাত কুবা মসজিদের সামনে বসে বিনামূল্যে বিতরণ করতেন। এ কাজে তার ছেলেরা তাকে সাহায্য করত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও অতিথিপরায়ণতায় তার কোনো কমতি ছিল না। শায়খ আল-সাবা মুসল্লি ও পথিকদের চা-কফি খাওয়াতে প্রতিদিন ৪৪টি বড় কনটেইনার সাথে নিতেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিনামূল্যে তা বিতরণ করতেন। মসজিদে নববীর পাশে একটি প্লাস্টিকের চেয়ারে বসতেন তিনি। সামনের টেবিলে সাজানো থাকত অনেক খেজুর, চা-সহ নানা রকম মিষ্টান্ন।
পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববীর খবর সরবরাহকারী দ্য হলি মস্ক এক্স-এর বার্তায় তার মৃত্যুর সংবাদ জানিয়ে লিখেছে, ‘শায়খ ইসমাইল আল-জাইম আবু আল-সাবা ৯৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি বিভিন্ন দাতব্য কাজ এবং হজ ও ওমরাহযাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে চা, কফি ও খেজুর বিতরণের জন্য সুপরিচিত ছিলেন।’