পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচন পরিকল্পিত এবং শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সেখানকার বিরোধী দলগুলি অবশ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সরব হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের বিষয়ে অন্যান্য দেশের মন্তব্যকে ভারত কীভাবে দেখছে? এমন প্রশ্নের জবাবে অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘সেখানে কীভাবে নির্বাচন হবে তা বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে।’ এ কথা বলে দায় এড়ালেও এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে নজর রাখছে নয়াদিল্লি।
নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে কয়েকটি দেশের মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি মনে করি সেখানে একাধিক কার্যক্রম চলছে এবং মানুষ সম্ভবত সেসব নিয়ে মন্তব্য করছে।’ অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে পুরো বিশ্বই মন্তব্য করতে পারে, তবে ভারত ভারতই। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে যা ঘটে, তাতে আমরাও জড়িত, কারণ তা আমাদের প্রভাবিত করে। বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে নির্ধারণ করবে নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সেভাবেই হওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, অবশ্যই, আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে আমাদের একটি হাইকমিশন আছে। আমরা আশা করি, সেখানে শান্তি থাকবে, সহিংসতা থাকবে না এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বাগচি। বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এই প্রথম মোদি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও মন্তব্য করল। আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগে থেকেই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে উদ্বিগ্ন। সেপ্টেম্বরে আমেরিকা একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে বাংলাদেশে। তারা প্রাক্-নির্বাচনী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে।