পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সাইকেল ভ্যানের প্যাডেলে পা নাবালিকার, আর পিছনের সিটে বসে আছেন তাঁর জখম বাবা। এইভাবেই ভ্যান চালিয়ে ৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে অসুস্থ বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল তার ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়ে।
ওড়িশার ভদ্রক জেলা সদর হাসপাতালে (ডিএইচএইচ) এইভাবেই বাবাকে নিয়ে আসে নাবালিকা। গত ২৩ অক্টোবরের ঘটনা। তবে বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসে যখন কিছু স্থানীয় লোকজন এবং সাংবাদিকরা মেয়েটিকে ভদ্রক শহরের মোহাতাব চকের কাছে দেখতে পান যখন সে তার বাবাকে নিয়ে যাচ্ছিল। ১৪ বছরের নাবালিকার নাম সুজাতা শেঠি। নদীগান গ্রামে বাড়ি। সাইকেল ভ্যানে চালিয়ে আহত বাবাকে তার গ্রাম থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে প্রথমে ধামনগর হাসপাতালে নিয়ে যায় সে। চিকিৎসকেরা নাবালিকার বাবাকে ভদ্রক ডিএইচএইচ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। এর পর সে ফের ৩৫ কিলোমিটার ভ্যান চালিয়ে বাবাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সূত্রের খবর, নাবালিকার বাবার নাম শম্ভুনাথ। গত ২২ অক্টোবর তিনি একটি গোষ্ঠী সংঘর্ষে আহত হন। সুজাতা জানায়, তারা খুব গরিব। গাড়ি ভাড়া করার ক্ষমতা নেই, মোবাইল ফোনও নেই।
অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়ার অবস্থা নেই। ভদ্রক হাসপাতাল থেকে এক সপ্তাহ পরে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার খবর পেতেই ভদ্রকের বিধায়ক সঞ্জীব মল্লিক ও ধামনগরের প্রাক্তন বিধায়ক রাজেন্দ্র দাস সুজাতার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। ভদ্রকের মুখ্য জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক শান্তনু পাত্র জানান, রোগীকে চিকিৎসার জন্য ২৩ অক্টোবর ভর্তি করা হয়েছিল। এক সপ্তাহ পর তাকে অপারেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়। রোগীদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের কাছে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার কোনও ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি হাসপাতালেই থাকবেন।