পুবের কলম প্রতিবেদক, বারাসত: এবার নাবালিকার বিয়ে বন্ধে উদ্যোগ নিলেন প্রধান শিক্ষিকা। চাইল্ড লাইন, স্থানীয় থানা ও ব্লক আধিকারিকদের সহযোগিতায় প্রধান শিক্ষিকা তার এক ছাত্রীকে অল্প বয়সেই বিয়ের হাত থেকে রক্ষা করলেন।
হাবরা ২ ব্লকের অশোকনগর থানা এলাকার ঘটনা।রাজিবপুর গার্লস হাই স্কুল আয়েশা খাতুন নামে নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল গত ১১ সেপ্টেম্বর। আয়েশার বন্ধুদের মাধ্যমে এই ঘটনা জানতে পেরে প্রধান শিক্ষিকা মকিমা খাতুন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। তিনি তৎক্ষণাৎ চাইল্ড লাইনকে খবর দেন। বিয়ের আগের দিন চাইল্ড লাইনের কর্মী, স্থানীয় ব্লক সহ আধিকারিক ও অশোকনগর থানার পুলিশ আধিকারিককে নিয়ে তিনি আয়েশা খাতুনের বাগপুল গ্রামের বাড়িতে যান। সঙ্গে আয়েশার অন্যান্য বন্ধুরাও ছিল।
প্রধান শিক্ষিকা মকিমা খাতুন আয়েশার বাবা শাহাবুদ্দিন মন্ডল ও মা আমেনা বিবিকে বোঝান নাবালিকা অবস্থায় মেয়েদের বিয়ে দিলে কি সমস্যা হতে পারে। এই বিয়ে বন্ধের আবেদন জানান তিনি। আয়েশার বাবা ও মা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে পুলিশ আধিকারিককে লিখিত মুচলেকা দিয়ে বিয়ে না দেওয়ার কথা জানান এবং মেয়েকে উপযুক্ত লেখাপড়া শেখানোর সংকল্প গ্রহণ করেন।
কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর মতো সরকারি প্রকল্পের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে একটি অকালেই বিয়ে হয়ে যাক এমনটা চায় না আয়েশার সহপাঠীরা। সচেতনতার অভাবেই এভাবে অকালেই নষ্ট হয় কন্যাদের জীবন। তাই এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে ওই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করে দিয়ে তাকে পুনরায় পড়াশোনার মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে পেরে খুশি, এমনটাই জানালেন শিক্ষিকা মকিমা খাতুন।
এর আগে ও আরেকটি নাবালিকা মেয়ের বিয়ে রদ করা সম্ভব হয়েছিল বলে তিনি জানান। পাশাপাশি আয়েশাও প্রধান শিক্ষিকাকে জানায়, সে লেখাপড়া শিখে স্বাবলম্বী হতে চায় এবং উপযুক্ত বয়স হলে তবেই বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে।