পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে এগোতে থাকা সেই ৬৪ কিমি. লম্বা রুশ সেনার কনভয় কোথায় গেল? কিয়েভের দিকে আসতে এত সময় তো লাগার কথা নয়! তবে কী কোনও বিপদ হল রুশ সেনা বহরের? উত্তরটা নতুন করে দিয়েছেন সামরিক বিশ্লেষকরা। বলা হচ্ছে, খাদ্য সংকট এবং খারাপ যোগাযোগের কারণে সেই কনভয়ের গতি থমকে গিয়েছে। আবার অনেকে বলছেন, ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রতিরোধ নয়, হাড়জমানো ঠান্ডা ও বরফই রাস্তা আটকে দিয়েছে রুশ সেনা দলগুলির। পূর্ব ইউরোপে তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে।
ইতিমধ্যেই কিয়েভ, খারকিভ-সহ আশপাশের অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ১০ ডিগ্রি নিচে। আর কয়েক দিনের মধ্যে সেই তাপমাত্রা মাইনাস ২০-তে পৌঁছবে। গত কয়েক দিন ধরে প্রবল তুষারপাত চলছে। এই অবস্থায় রাশিয়ার ওই দীর্ঘ কনভয়ে থাকা সেনাবাহিনীর সদস্যরা ট্যাঙ্কের ভিতরেই জমে মারা যেতে পারেন বলে দাবি করছেন অনেকে। বাল্টিক সিকিউরিটি ফাউন্ডেশন-এর প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ গ্লেন গ্রান্টের দাবি, যে হারে তাপমাত্রা নামছে তাতে রাশিয়ার ট্যাঙ্কগুলি এক একটি ফ্রিজারে পরিণত হবে। আর তার ভিতরে সেনারা থাকলে জমে মারা যেতে পারেন যদি না ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন সর্বক্ষণ চালিয়ে রাখেন।
কিন্তু এখানে আরও একটি প্রশ্ন উঠে আসছে, যদি ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন চালিয়ে রাখা হয় তা হলে সেই বিপুল পরিমাণ জ্বালানি আসবে কোথা থেকে? গ্রান্ট জানান, এমনিতেই খাদ্য এবং জ্বালানি সঙ্কট শুরু হয়ে গিয়েছে ওই কনভয়ে। তার উপর যদি তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে শুরু করে তা হলে সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা রুশ সেনাদের পক্ষে অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হবে। ব্রিটিশ সেনার প্রাক্তন মেজর কেভিন প্রাইস জানিয়েছেন, তাপমাত্রা নামলেই রুশ ট্যাঙ্কগুলো হয়ে উঠবে এক একটি ৪০ টনের ফ্রিজার। আর এই পরিস্থিতিই রুশ সেনাদের মনোবল আরও তলানিতে নিয়ে যাবে বলে মত তার।