দেবশ্রী মজুমদার, মল্লারপুর: শুক্রবার বড়ঞা থানায় তৃণমূল নেতা মোস্তফা সেখ খুনে অন্যতম অভিযুক্ত আসামী তথা দূর সম্পর্কের আত্মীয়কে বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে গুলি বিদ্ধ হতে হল বাড়ির গৃহস্বামীকে। ঘটনা টি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার বড়তুরি গ্রামের মাঠ পাড়ায়।প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার শিবপুরে বাসিন্দা সবুর সেখ একজন খুনের আসামী। শুক্রবার মল্লারপুর থানার বড়তুরি গ্রামে তার দূর সম্পর্কের আত্মীয় আপেল সেখের বাড়িতে আশ্রয় নেয় সে। যদিও আপেল সেখের দাবি, আশ্রয় দিতে না চাইলেও জোর করে আশ্রয় নেয় সে। এদিকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে ধরতে গেলে সে পুলিশের দিকে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। তার একটি গুলি লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়ে বাড়ির মালিক আপেল সেখের ডান পায়ে লাগে। তাকে গুরুতর অবস্থায় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাড়ির মালিক আপেল সেখ বলেন, শুক্রবার রাত্রি ৮ নাগাদ সবুর সেখ আমার বাড়িতে এসে বলে আমাকে একটু আশ্রয় দিন। আমি তাকে বলি, আশ্রয় হবে না। কিন্তু সে জোরজবস্তি করে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসে। তখন সে পালিয়ে যাবার সময় গুলি করলে আমার পায়ে একটা গুলি এসে লাগে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় খুন হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মোস্তাফা শেখ (৩৫)। স্থানীয় শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি ছিলেন বড়ঞার কুরুন্নরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। বাজার করে বাইক নিয়ে সুন্দরপুর মোড়ের ফাঁকা এলাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মোস্তাফা। ঠিক সেই সময় একদল দুষ্কৃতী তাঁর পথ আটকায়। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি ছোড়া হয়। ধানক্ষেতের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন মোস্তাফা। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত সবুর সেখ পালিয়ে এসে বীরভূমের মল্লারপুর থানার বড়তুরি গ্রামে আত্মীয় আপেল সেখের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। কিন্তু পুলিশ ধরতে এলে কয়েক রাউণ্ড ফায়ার করে সেখান থেকেও পালাতে সক্ষম হয় সে। ঘটনার জেরে বাড়ির আপেল সেখ জখম হন