উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: সুন্দরবনের মধু এবার পাড়ি দিল বিদেশের পথে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের হাতে এবার উপহার হিসাবে তুলে দেওয়া হল সুন্দরবনের মধু।
সম্প্রতি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে হাজির রাষ্ট্রপ্রধানদের হাতে স্বদেশি সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সেই উপহার তালিকায় ছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হস্তশিল্পের নিদর্শন ও দেশের সেরা কিছু প্রাকৃতিক পণ্য। কাশ্মীরের পশমিনা শাল, অন্ধ্রপ্রদেশের আরাকু ভ্যালির কফি, উত্তর প্রদেশের জিগহরানা আতরের পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনের মধুও। রাষ্ট্রপ্রধানদের হাতে মধু তুলে দেওয়ায় উৎসাহিত হয়েছেন সুন্দরবনের মৌলেরা।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মধু সংগ্রহ করেন তাঁরা। গত কয়েক বছরে সেই মধু সংগ্রহ করে কয়েকটি যৌথ বন পরিচালন কমিটি মিলে কো অপারেটিভের মাধ্যমে মধুকে পরিশোধিত করে ‘বনফুল’ নাম দিয়ে বাজারজাত করার পদক্ষেপ করেছে বন দফতর। সেই ‘বনফুল’ই উপহার পেলেন রাষ্ট্রপ্রধানেরা। আর এ ব্যাপারে বনফুল অ্যাগ্রো প্রোডাকশন কোম্পানির অন্যতম সদস্য দীপক মণ্ডল বলেন, ‘এটি আমাদের কাজে বাড়তি উৎসাহ জোগাবে। আমাদের এই মধুর চাহিদা আরও বাড়বে।”
দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের ডিএফও মিলনকান্তি মণ্ডল বলেন, “এটি সত্যিই সাফল্যের কাহিনি।আমরা গর্বিত। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে একটি কো-অপারেটিভের মাধ্যমে উৎপন্ন বনফুল বিভিন্ন দেশের কাছে পৌঁছে গিয়েছে রাষ্ট্রপ্রধানদের মাধ্যমে।”বেশ কয়েক দশক ধরে সুন্দরবনের মধু বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছে।
বন দপ্তরের তত্ত্বাবধানে উৎকৃষ্ট পরিমাণের মধু।ও তৈরি করা হচ্ছে সুন্দরবনে। সুন্দরবনের গর্ব এখন রয়েল বেঙ্গল টাইগার শুধু নয়। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পাশাপাশি এখন সুন্দরবনের মধুর খ্যাতি জগৎজোড়া। আর সুন্দরবনের মধুর চাহিদা আর ও বাড়লে সুন্দরবনের মৌলেরাও কর্মসংস্থানের নতুন দিশা খুঁজে পাবে। বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি হবে।