পারিজাত মোল্লা: বুধবার রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের মামলায় স্যাটের নির্দেশ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ । এর সঙ্গে সিনিয়রিটির ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত । এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে । আদালত সুত্রে প্রকাশ, গত ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুয়ায়ী পরীক্ষার পর ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ৪০২ জনের একটি প্যানেল প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড । সেই তালিকা খারিজ করে দেয় স্টেট এডমিনিস্ট্রেট ট্রাইব্যুনাল ।রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের গঠিত প্যানেলে দেখা যায়, সংরক্ষিত শ্রেণির কোনও প্রার্থী জেনারেলদের থেকে বেশি নম্বর পেলে তাঁকে জেনারেল ক্যাটেগরিতেই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল । এর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হয় জেনারেল ক্যাটেগরির প্রার্থীরা । তাঁদের দাবি, -‘ এতে তাঁদের সুযোগ কমে গিয়েছে’ । ট্রাইব্যুনাল তাঁদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে রাজ্যকে আলাদা তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেয় । নির্দেশে আরও বলা হয়েছিল, -‘যাঁরা সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থী নয়, চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের জন্য আলাদা তালিকা তৈরি করতে হবে’ ।এদিকে সংরক্ষিত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের অভিযোগ, -‘নতুন তালিকায় দেখা যাচ্ছে, যাঁরা লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েছেন, ইন্টারভিউতে তাঁরা প্রচুর নম্বর পেয়েছেন বলে দেখা যাচ্ছে । ইন্টারভিউতে গিয়ে তাঁদের দক্ষতা হঠাত্ কীভাবে বেড়ে গেল, সেই দিকটি খতিয়ে না-দেখে ট্রাইব্যুনাল পুরো তালিকাই খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছে’ । পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে সংরক্ষণের নিয়মকেই লঙ্ঘন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে । গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্য সরকার ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী নতুন তালিকা প্রকাশ করে থাকে । এই তালিকা থেকে ১৩৭ জনকে বাদ দেওয়া হয় । পাশাপাশি আরও ২১৭ জন চাকরিতে যোগ দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল । এরপর কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ সব কিছু খতিয়ে দেখে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে থাকে ।বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, -‘২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড যে প্যানেল প্রকাশ করেছিল, সেটাই অপরিবর্তিত থাকবে । ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ খারিজ করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত ছিল । তাই সিনিয়রিটির ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । এর সঙ্গে ১৭০ জনকে ইতিমধ্যে নিয়োগ করেছিল রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড । তাঁদের চাকরি বাতিল না-করে অন্যত্র চাকরিতে নিযুক্ত করতে সুপারিশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।রাজ্যে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এবার গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। ২০১৯ সালে রাজ্য পুলিশে কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য সরকার।পরীক্ষার পর ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ৪০২ জনের একটি প্যানেল প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড । মামলাকারী চাকরিপ্রার্থীর অভিযোগ, -‘নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক গরমিল হয়েছে। স্টেট ট্রাইব্যুনাল আদালতে এই অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করেন তাঁরা।এরপরই রাজ্যের তালিকা খারিজ করে ট্রাইব্যুনালের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, -‘যারা সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থী নয় তাদের জন্য আলাদা তালিকা বানাতে হবে চার সপ্তাহের মধ্যে’। সংরক্ষিত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের অভিযোগ, -‘কিছু পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেলেও ইন্টারভিউতে প্রচুর নম্বর পেয়েছে।ইন্টারভিউতে গিয়ে তাদের দক্ষতা হঠাত্ করে কীভাবে বেড়ে গেল’?এই বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। অভিযোগ, এরপরই সবদিক খতিয়ে না দেখে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল খারিজ করার নির্দেশ দেয় স্টেট ট্রাইবুনাল।রাজ্য ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মতো রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড নতুন তালিকা প্রকাশ করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। যেখানে পুরনো তালিকার ১৩৭ জনকে বাদ দেওয়া হয় নতুন তালিকায়। পাশাপাশি আরও ২১৭ জন চাকরিতে যোগ দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলে জানান রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে থাকে ।এদিন প্রধান বিচারপতির টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্রাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, -‘২০২১ সালের ২৬ মার্চ রাজ্য পুলিশ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড যে প্যানেল প্রকাশ করেছিল সেটাই অপরিবর্তিত থাকবে’। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের ফলে যেহেতু নিয়োগ স্থগিত হয়েছিল তাই বয়সের বর্ধিত সীমার নিরিখে নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি যে ১৭০ জনকে ইতিমধ্যে নিয়োগ করেছিল রাজ্য তাদের চাকরি বাতিল না করে অন্যত্র চাকরিতে নিযুক্ত করতে সুপারিশ হাইকোর্টের।