পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে উঠে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। সেই অভিযোগেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা হল উচ্চ আদালতে। তবে কি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হবে?
নাকি আদালত অবমাননার মামলা খারিজ করে দেবে আদালত? রাজ্য ও কমিশনের বক্তব্য জানার পরেই আগামী ২১ শে সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী সহ আরও অনেকে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগও আনেন তাঁরা।পঞ্চায়েত নির্বাচনে কতজন মারা গিয়েছে? তাদের নাম সহ সম্পূর্ন তালিকা দিতে বলা হয়েছে। কতজন হোমগার্ডকে ভোটের কাজে নিযুক্ত করা হয়েছিল? রাজ্যের প্রকল্প অনুযায়ী কোন কোন মৃত ব্যক্তির পরিবার ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন? আহত বা গুরুতর আহতরা কেন পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন না? রাজ্য ও কমিশনকে হলফনামা দিয়ে উত্তর জানাতে বলা হয়েছে।বিরোধী দলনেতার অভিযোগ,-‘ পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন হিংসার ঘটনায় রাজ্যে মোট ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে’।
পরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, মৃতদের পরিবারের কোনও একজন সদস্যকে চাকরি এবং তাঁদের আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। সাহায্য পাবেন আহতদেরও। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের পর দু’মাস কেটে গেলেও সেই সাহায্য মেলেনি বলেই অভিযোগ। সোমবার সেই মামলার শুনানিতেই রাজ্যের কাছে জবাব তলব করলো হাইকোর্ট।অধীরের মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। অধীরের আইনজীবী সোমবার বিচারপতিকে জানান, -‘ রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর মাত্র ১৭ জন সেই চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু বাকিদের কী হল? ‘ মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পরই প্রধান বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চান, ”পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে হিংসার ঘটনায় মৃত এবং আহতদের পরিবারকে কী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে? এ ব্যাপারে আদালতকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। যারা পঞ্চায়েত নির্বাচনে মারা গিয়েছেন, তাঁদের নামও জমা দিতে হবে”।
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। ভোটের কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করার অভিযোগও উঠেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা নয় কেন, তা জানতে চেয়ে রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত।