মোল্লা জসিমউদ্দিন: শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের কাটিং দেখিয়ে জনস্বার্থ মামলা? নেই কোন বিস্তারিত তথ্য! বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সন্দেশখালি তে ইডির আক্রান্ত বিষয়ক বিজেপির দাখিল মামলা টি খারিজ করে দিল।ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, -‘ শুধুমাত্র সংবাদমাধ্যমের খবরের উপর ভিত্তি করে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নিয়ে কোনও রিসার্চ করা হয়নি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে।তারা জানে এ সব পরিস্থিতি কী ভাবে সামলাতে হয়’।এদিন এই মামলার শুনানি পর্বে প্রধান বিচারপতি আরও জানান, -‘ সংবাদমাধ্যমের খবরের উপর ভিত্তি করে মামলা দায়ের করে আদালতের কাছে আবেদন জানানো অর্থহীন। তাই এই মামলার কোনও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে আদালত মনে করছে না’।উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে গত সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা। আইনজীবী সুস্মিতা দত্ত সাহা দ্রুত শুনানি চেয়ে আবেদন করেন। তখন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, -‘মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বৃহস্পতিবার’। তার পরই বৃহস্পতিবার মামলাটি এজলাসে উঠলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে।গত শুক্রবার ( ৫ জানুয়ারি) সন্দেশখালির সরবেরিয়া গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় আর্থিক তদন্তকারী সংস্থা ইডি আধিকারিকেরা। রেশন দুর্নীতির তদন্তে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডির দল। সেখানে কয়েকশো গ্রামবাসী লাঠি, পাথর, ইট নিয়ে চড়াও হন ইডির অফিসার এবং সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর। মোট পাঁচ জন ইডি কর্তা এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা গিয়েছিলেন সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বাড়ি। তাঁর বাড়ির সামনেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সরিয়ে ইডির কর্তাদের মারধর করেন গ্রামবাসীরা। তিন জন ইডি কর্তা জখম হন ওই হামলায়। তাঁদের হাসপাতালেও ভর্তি করাতে হয়। পরে ইডির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, -‘গ্রামবাসীরা তাদের অফিসারদের খুন করার চেষ্টা করেছিল’। এই বিষয়ে বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দাখিল করা হয়। এদিন তা খারিজ করলো ডিভিশন বেঞ্চ। কেননা এই মামলা শুধুমাত্র সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিক্তি করে করা হয়েছিল।