পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার আগে নেওয়া হয় কেন্দ্রের অনুমতি। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ধর্ষকদের পক্ষে এক আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা। একটি ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে একটি আলোচনাচক্রে অংশ নেন এই আইনজীবী। সেখানেই তিনি বলেন ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দেওয়ার আগে গুজরাত সরকার অনুমতি নেয় কেন্দ্রের। যদিও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই ইস্যুতে এখনও কোন মন্তব্য করা হয়নি। ঋষি আরও বলেন এই ধরনের কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট রাজ্য অবশ্যই আগে কেন্দ্রের অনুমতি নেয়। কেন্দ্রের সবুজসংকেত না পেলে কোনভাবেই এই মুক্তি সম্ভব নয়।
আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা আরও বলেন ” কেন্দ্রের অনুমতি অবশ্যই নেওয়া হয়েছিল। দয়া করে আমার বিবৃতি রেকর্ড করে রাখুন। আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে এই বিবৃতি দিচ্ছি। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আইন মেনে অনুমতি নিয়েছিল রাজ্য সরকার।“বিলকিস বানোর ধর্ষকদের ১৫ অগস্ট দেশের স্বাধীনতাদিবসের দিন মুক্তি দেওয়া হয়। কেন ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দেওয়া হল তাই নিয়ে সমাজের সর্বস্তরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। এই মুক্তি আদৌ আইন মোতাবেক হয়েছে কিনা তাও জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২০০২ সালে গুজরাতে সহিংসতার সময়ে ১১জনের হাতে গণধর্ষিতা হন ২১ বছরের বিলকিস বানো। ঘটনার সময় অন্তঃস্বত্বা ছিলেন বিলকিস। এখানেই শেষ নয় বিলকিসের তিনবছরের মেয়েকে আছড়ে হত্যা করা হয়। বিলকিসের পরিবারের মোট সাতজনকে হত্যা করা হয়। ২০০৮ সালে এগারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। তাদের মধ্যে ছিলেন দু’জন চিকিৎসক, যারা প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল এই ১১ জন ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা থেকে মুক্তি দেয়। যা নিয়েই দেশজুড়ে শুরু হয় বিতর্ক।