পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ‘বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়’র যোগদান আসলে চমকের শুরু। এখনও অনেক চমক বাকি রয়েছে।’ শনিবার লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরের নিচের অডিটোরিয়ামে ভবানীপুরের হিন্দি ভাষাভাষী মানুষদের সঙ্গে আলাপচারিতার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথাই বললেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির তারকা সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এদিন সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অভিষেকের উত্তর, ‘খেলা তো সবে শুরু, আগামীতে আরও অনেক বড় চমক অপেক্ষা করছে।’
এদিন দিনভর বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে আলোচনার মাঝেই ভবানীপুরের অবাঙালি ভোটারদের সঙ্গে আলাপচারিতায় যোগ দেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট প্রচারে নেমেই মানুষের মন জয় করলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এই বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো দলের প্রথম সারির নেতৃত্ব। সেখানেই উপস্থিত হিন্দিভাষী মানুষদের উদ্দেশে অভিষেক বলেন, ‘আগামীতে ভারতবর্ষের বুনিয়াদ গঠনের কথা মাথায় রেখেই আগামী ৩০ তারিখ যেন তারা ভোট দিতে যান। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে বর্তমানে যারা দেশের শাসক তারা দেশটাকে বেচে দিতে চাইছে। দেশের উন্নয়নের ভাবনা ছেড়ে তারা বিভাজনে ব্যস্ত। অভিষেক বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমি একজন পইতে পরিহিত ব্রাহ্মণ। বিজেপির কাছ থেকে হিন্দুত্বের শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি এরাজ্যে ধর্মের নাম করে বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করেছে। গত বিধানসভার নির্বাচন রাজ্যের মানুষ বিজেপির এই রাজনীতিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। বাংলার মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে আরও একবার বিজেপিকে জবাব দেওয়ার সুযোগ এসেছে। বাংলার মানুষকে প্রমাণ করতে হবে তারা এই বিভাজনের রাজনীতিকে সমর্থন করে না। এই বৈঠক থেকে ভবানীপুর বিধানসভার মানুষ তথা কর্মী-সমর্থকদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেকর্ড মার্জিনে জয়ী করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
এই বৈঠক প্রসঙ্গে তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এদিন এই অঞ্চলের মানুষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন রূপে চিনল। যেভাবে তিনি সরল সাবলীল হিন্দিতে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাতে আপ্লুত এখানে উপস্থিত মানুষেরা।’