দেবশ্রী মজুমদার, তারাপীঠঃ গত বুধবার থেকে বৈদ্যুতিক চুল্লীতেই শবদাহ করতে উদ্যোগী হয় প্রশাসন। সেদিন বিকেলের দিকে ট্রায়ালও দেয়। এব্যাপারে জেলা প্রশাসনের তরফে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ ডোমদের নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানে তাদের পারিশ্রমিক নিয়েও আলাপ আলোচনা হয়।
বুধবার অবশ্য বেলা একটা পেরিয়ে গেলেও বৈদ্যুতিক চুল্লী চালু হয় নি। সকাল থেকেই কাঠেই শবদাহ পর্ব চলছে। দেখা গেল দুটি চিতাতেই শবদাহ প্রায় শেষের দিকে। স্থানীয় ডোম ভীমা ডোমকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল যে, তিনটি শবদেহ এসেছে। তার মধ্যে একটি শবদেহ রাখা হয়েছে। বেলা তিনটে নাগাদ অফিসাররা আসবেন বলে জানা গেছে। তারপর শবদাহ টেস্ট করা হবে। উল্লেখ্য , দশবারো দিন ধরে বৈদ্যুতিক চুল্লী বন্ধ আছে। চুল্লী উদ্বোধন হওয়ার পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায়। তারপর চুল্লি সচল রাখতে তোড়জোড় শুরু হয় প্রশাসনিক স্তরে। তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, উদ্বোধনের পর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে দশবারো দিন বৈদ্যুতিক চুল্লী বন্ধ ছিল। আবার চালু হবে। জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, আজেই বৈদ্যুতিক চুল্লী শীঘ্রই চালু হবে। পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখতেই বৈদ্যুতিক চুল্লীর ব্যবস্থা করা হয়। ইতিমধ্যে বোলপুরের কঙ্কালী তলায় বৈদ্যুতিক চুল্লী চালু হয়েছে। কাঠের থেকে বৈদ্যুতিক চুল্লীতে কতটা বেশী খরচ হবে বা ডোমদের কতটা লাভ হবে এনিয়ে আগেই এক প্রস্থ আলোচনা সেরে নেয় প্রশাসনিক কর্তারা।
জানা গেছে, তারাপীঠে মহাশ্মশানে বৈদ্যুতিক চুল্লি ও প্রথাগত কাঠের চুল্লিতে একই খরচ পড়বে। উভয়ক্ষেত্রেই খরচের পরিমাণ আঠারোশো টাকা। ডোমেদের চার্জ হাজার টাকা নির্ধারিত। গ্রীন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে বৈদ্যুতিক চুল্লীর পক্ষে সরকার। কাঠ ও বৈদ্যুতিক চুল্লির ক্ষেত্রে শবদাহের খরচ এক হওয়ার ফলে সবাই বৈদ্যুতিক চুল্লির পক্ষে যাবে বলে সবার ধারণা।