পুবের কলম প্রতিবেদক, দাসপুর: কালীপুজোর রাতে রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ শাশুড়ির মাথা ফাটাল মদ্যপ গুণধর জামাই। জামাইকে ধরে পাড়াপ্রতিবেশিরা মিলে দিল গণধোলাই। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার পাত্র পাড়ার। স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে আনতে এসেছিলেন যুবক, শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের কারনে ফিরতে চায়নি সে, পাঠাতে চায়নি মেয়ের মা-ও৷ রাগে মদ্যপ অবস্থায় শাশুড়ির মাথায় মুগুর দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর জখম হন শাশুড়ি ৷
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ নিজের স্ত্রী অঙ্কিতা বাগকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে এসেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কুলহান্ডা এলাকার যুবক শিবপ্রসাদ। সেই সময় সে মদ্যপ অবস্থায় ছিল৷ এই অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে প্রবেশ করতেই শুরু হয় শ্বশুর বাড়ির লোকের সঙ্গে তুমুল বচসা৷ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বাড়ির দরজা খোলেনি মদ্যপ থাকার কারনে৷এরপর চিৎকার চেঁচামেচি করে শিবপ্রসাদ দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে৷ স্ত্রীকে তখনই বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য জেদ করে৷ স্ত্রী জানায় সে শিবপ্রসাদের সঙ্গে সংসার করবে না ৷
একবছর আগেই এই দাসপুরের নিমতলার বাসিন্দা ধনঞ্জয় মন্ডল ও অঞ্জলি মন্ডল এর বড় মেয়ে অঙ্কিতার সাথে বিয়ে হয় পূর্ব মেদিনীপুরের এই শিবপ্রসাদের। স্ত্রী অঙ্কিতার অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার চালাত তার উপর, সেই কারণেই অঙ্কিতা দুই মাসের কন্যা সন্তানকে কোলে নিয়ে একমাস আগে বাপের বাড়িতে চলে আসে। সে কোনোমতেই শ্বশুর বাড়িতে ফিরে যেতে রাজি নয়। মেয়ের ওপর অত্যাচারের কথা জেনে মেয়ের মা-ও মেয়েকে পাঠাতে নারাজ হয়৷ তখনই দুরে পড়ে থাকা একটা মুগুর নিয়ে শাশুড়ির মাথায় জোরে মেরে দেয় মদ্যপ জামাই৷ রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন শ্বাশুড়ি অঞ্জলি মন্ডল ৷
তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ততক্ষনে হাজির হয়ে যায়৷ জামাইকে ধরে ফেলে৷ পাড়ার লোকেরাই গণধোলাই দেয়৷ বেধড়ক মারধোর করে ফেরত পাঠায়৷ তবে পুলিশে কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।