পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: বিজেপি সাংসদ প্রীতম মুন্ডে বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য নির্দিষ্ট বৃত্তি বাতিল করার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। একজন বিজেপি সাংসদের এহেন দাবিতে স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে শাসক দল। উচ্চ শিক্ষার জন্য সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের মৌলানা আজাদ ফেলোশিপ বাতিল করা হয়েছে। সরকারের প্রাক-মাধ্যমিক বৃত্তি এবং প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য হবে না। লোকসভায় বিষয়টি উত্থাপন করে, মুন্ডে বলেন সিদ্ধান্তটি কোনও পূর্বসূচনা ছাড়াই নেওয়া হয়েছিল। এই বছরও, হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছিলেন। ( ২৫৮) মুন্ডে আরও বলেন “আমি দাবি করছি যে সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত। এই ধরনের বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উৎসাহ হিসাবে কাজ করে,” পদ্ম শিবিরের এই সাংসদ আরও বলেন বহু সংখ্যালঘু পরিবারের ছেলেমেয়েরা এই স্কলারশিপের ওপর নির্ভর করে তাদের লেখাপড়া চালিয়েযাচ্ছিল। হয়ত অনেক পরিবারের বাবা মা এর পক্ষে শিক্ষার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ ব্যয় করা সম্ভব নয়।এই স্কলারশিপ বিনা নোটিশে বন্ধ করে দেওয়ার অর্থ হল ওই শিক্ষার্থীদের শিশুশ্রমের দিকে ঠেলে দেওয়া। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন যে শিক্ষার্থীরা ৩১ শে মার্চ, ২০২২ এর আগে মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ফেলোশিপ (এমএএনএফ) পেয়েছেন তারা তাদের বৃত্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুবিধা পেতে থাকবেন। । ছয়টি সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের জন্য মুসলিম, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পার্সি এবং জৈন)।২০১২ সাল থেকে চালু হওয়া প্রাক-ম্যাট্রিক স্কলারশিপ স্কিম, পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ স্কিম মোট পাঁচবছরের মেয়াদের এই স্কলারশিপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলো এ পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। “এমএএনএফ ফেলোশিপ বন্ধ করার সরকারের সিদ্ধান্তের অর্থ সংখ্যালঘুদের প্রতি অবহেলাপূর্ণ ও বিদ্বেষ মনোভাবের প্রকাশ।