পুবের কলম প্রতিবেদক: বাংলাকে বঞ্চিত রাখার প্রতিবাদে দিল্লিতে রয়েছে ধরনা কর্মসূচি। বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চলেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা।
বাংলায় একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকা এবং আবাস যোজনার কাজের টাকা মিলিয়ে মোট ১৫ হাজার কোটি টাকা আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তৃণমূল থেকে বার বার অভিযোগ তোলা হয়েছে, এই টাকা আটকে থাকার জন্য বাংলার গরিব মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। এবার সেই ভুক্তভোগী মানুষদের চিঠি দিল্লিতে নিয়ে যেতে চলছে তৃণমূল। ‘বঞ্চনা’র কথা জানিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখছেন একশো দিনের কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষজনরা।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সেই সব চিঠি এসে জমা হয়েছে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে। এই চিঠিগুলি দিল্লিতে নিয়ে যাবেন তৃণমূল নেতৃত্ব। গান্ধী জয়ন্তীতে রাজধানীর বুকে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছে তৃণমূল। আগামী ২ ও ৩ অক্টোবর ‘দিল্লি চলো’র ডাক দিয়েছে তৃণমূলের নেতৃত্ব। এখনও পর্যন্ত যা খবর, ১ অক্টোবরই রাজধানীতে পৌঁছে যাবেন তৃণমূলের বিধায়ক ও সাংসদরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে অবস্থান বিক্ষোভ চালাবে ঘাসফুল শিবির। আরও চড়বে আন্দোলনের সুর। আর ঠিক তার আগে বাংলার ‘বঞ্চিতদের’ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা চিঠি জমা হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে।
মঙ্গলবার সেই ছবি এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। লেখা হয়েছে, ‘অবিচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন বাংলার আমজনতা।’ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও লিখছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের অবিচারের বিরুদ্ধে জোট বাঁধছে বাংলার মানুষ।’
এদিকে, দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন রাজ্যের সাংসদ ও বিধায়করা। অনেকে ৩০ সেপ্টেম্বর রাতেই দিল্লি পৌছে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। জেলা থেকে যাঁদের দিল্লি যাওয়ার কথা রয়েছে তারাও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।
অন্যদিকে,দিল্লি চলো কর্মসূচিকে নিয়ে বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য মঙ্গলবারও রাজ্যকে খোঁচা দিয়েছেন। তিনি বলছেন, ‘রাজ্য চাইছে বরাদ্দের টাকা নিজের ইচ্ছামতো খাতে ব্যবহার করতে। সেটা সম্ভব নয়।’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘আমরাও চাই গরিবের টাকা দেওয়া উচিত। আর এখন যখন জাতীয় রাজনীতিতে জোট হয়ে গিয়েছে। একশো দিনের কাজের ব্যাপার নিয়ে সেলিম-মমতা সবাই মিলে গিরিরাজ সিংয়ের কাছে যান।’