পুবের কলম প্রতিবেদক: পায়ের সমস্যা নিয়ে দুর্গাপুজোর আগে থেকে দীর্ঘ সময় বিশ্রামে কাটাতে হয়েছে। লক্ষ্মীপুজোতেও ঘরবন্দি প্রায়। আর বিশ্রামে থাকাকালীনই তিনি লক্ষ্মীপুজোয় লিখে ফেললেন দীর্ঘ কবিতা , ‘আমার লক্ষ্মী’। বঙ্গের নারীশক্তিকে কুর্নিশ জানিয়ে তাঁর এই কবিতা। প্রতি ছত্রে ছত্রে বাংলার নারীদের নানা ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
‘আমার লক্ষ্মী’ নামের দীর্ঘ কবিতাটি মোট ২৪ লাইনের। নানা ক্ষেত্রে গ্রামবাংলার কন্যাদের কৃতিত্ব, তাঁদের সাফল্য সমস্ত কিছু খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কবিতার শুরুতেই লেখা , দআমার লক্ষ্মী আজকের দিনে সবারে করে আহ্বান/ আমার লক্ষ্মী ক্লান্তি ভুলে গায় জীবনের জয়গান।দ বাংলার বহুল প্রচলিত প্রবাদ, রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতীর কথা মাথা রেখেই তাঁর এই কবিতা। কীভাবে লক্ষ্মীরূপী মহিলাদের গুণপনায় সংসার ভরে ওঠে, পাশাপাশি নিজস্ব শক্তিতে তাঁরাই কীভাবে বিশ্বজয়ও করেন, সেই কাহিনি উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কবিতায়। একজন নারী হিসেবে তিনিই তো সবচেয়ে ভালোভাবে নারীশক্তির কথা তুলে ধরেছেন।
এই প্রথম নয়। সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চা মুখ্যমন্ত্রীর দৈনন্দিন জীবনেরই অঙ্গ। এর আগে নানা বিষয় নিয়ে তিনি কবিতা লিখেছেন। ‘কবিতাবিতান’ নামে তাঁর একটি বইও আছে। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর লেখালেখি নিয়ে প্রচুর বই প্রকাশিত হয়েছে। সময়ের দিনলিপি যেন তাঁর কবিতাগুলি। বিপন্নতা, সংকট, আনন্দ , সমস্ত পরিস্থিতিতেই কলম তুলে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে ফুটে উঠেছে সমকালীন ছবি। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে ‘আমার লক্ষ্মী’ও তেমনই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।