পুবের কলম প্রতিবেদক: ঘাসফুল শিবিরে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের মধ্যেই লোকসভা ভোটে সেনাপতির দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি হিসাবে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলাদাভাবেই বৈঠকে বসবেন তিনি। আগামী বুধবার প্রথমে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। কালীঘাটের বাড়িতে বিকেল চারটের সময়ে ওই বৈঠক হবে।
লোকসভা ভোটে ইন্ডিয়া জোটের মধ্যে আসন সমঝোতা হবে কিনা, তা নিয়ে অপেক্ষা না করে রাজ্যের ৪২ আসনে প্রার্থী দেওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর সেক্ষেত্রে যে সব জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্ধ তুঙ্গে এবং বিরোধী শিবির শক্তিশালী, সেই সব জেলাকেই বিশেষ গুরুত্ব দোয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দুটি আসনের মধ্যে বর্তমানে একটি তৃণমূলের দখলে (ঘাটাল)। বাকি আসনটি বিজেপির দখলে (মেদিনীপুর)।
ইদানিং অবশ্য তৃণমূলের সঙ্গেও দুরত্ব তৈরি করে বিজেপির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলছেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ওরফে দেব। গত সাড়ে চার বছর ধরে ঘাটালের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ নেই তার। তাছাড়া তৃণমূলের কোনও কর্মসূচিতেও অংশ নিতে দেখা যায়নি। ফলে দেবকে আর প্রার্থী হিসাবে চাইছেন না ঘাটালের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। তাছাড়া মেদিনীপুর বিজেপির হাত থেকে পুনরুদ্ধারের তাগিদও রয়েছে শাসকদলের কাছে।
লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে যেভাবে মেদিনীপুরের পুরসভার দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূল পুরপিতাদের একাংশ বিদ্রোহ করেছেন, তাতেও বিড়ম্বনায় ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বুধবারের বৈঠকে মেদিনীপুর ও ঘাটাল আসনের প্রার্থী নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি গোষ্ঠীকোন্দল বন্ধ নিয়েও কড়া বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবীন-প্রবীণদের মধ্যে লড়াই বন্ধ করে বিজেপিকে হারানোর জন্য সর্বাত্মকভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ারও জন্য বার্তা দেবেন তিনি।