পুবের কলম প্রতিবেদক: স্কুলের সিলেবাস ও পরীক্ষা নিয়ে সারা বছরে মোট কর্মদিবস ২২০ দিন। কিন্তু এ বছর লোকসভা নির্বাচনের জন্য প্রায় দেড় মাস আগে ৯০০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করেছে। আর এতেই সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের প্রায় এক হাজার স্কুল-কলেজ। পড়ুয়াদের পঠনপাঠন বন্ধ রেখে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে রাখতে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
এই নিয়ে শিক্ষকদের একাংশ প্রতিবাদ করেছে। তাঁদের বক্তব্য, নির্বাচন হবে। কিন্তু কেনও পড়ুয়াদের পঠনপাঠনে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঠনপাঠনের পরিবেশ ফিরিয়ে দিয়ে সিলেবাস শেষ করার সুযোগ দেওয়া হোক।
শুক্রবারই রাজ্যে এসেছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করেই বাহিনীর আগমন। ভোটের আগে আরও বাহিনী আসবে। সেইজন্য এখন থেকেই একাধিক স্কুল চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোটের জন্য কলকাতা-সহ জেলায় জেলায় একাধিক স্কুল কেন্দ্রীয় বাহিনীর দখলে চলে যাওয়ায় পড়াশোনা শিকেয় উঠবে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অন্যত্র রাখার দাবিতে সরব হয়েছে শিক্ষক সংগঠন।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর থাকার ব্যবস্থার জন্য ইতিমধ্যে বেথুন স্কুল, আনন্দপুর হাইস্কুল ক্লাস কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেথুন স্কুল সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী স্কুলের একাধিক ক্লাস রুম দখল করে থাকার ফলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্লাস স্থগিত রাখা হচ্ছে। নবম এবং দশম শ্রেণির ক্লাস চতুর্থ পিরিয়ডের পর থেকে বন্ধ রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের একাধিক স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে চিঠি গিয়েছে থানা থেকে। সেই তালিকায় আছে যাদবপুরের তিনটি স্কুল, উত্তরপাড়ার একটি স্কুল। আর রাজ্যের একগুচ্ছ স্কু্লে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।