পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন মোদি সরকারও কামব্যাক করতে কোমরবেঁধে নেমে পড়েছে। বর্তমানে দেশের জ্বলন্ত সমস্যা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। এ নিয়ে দেশবাসীর অসন্তোষ মেটাতে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র সরকার। খবরে প্রকাশ, আগামী দিনে কমতে পারে পেট্রোল-ডিজেলের উপর আবগারি শুল্ক কমাতে পারে কেন্দ্র। এছাড়াও মোদি সরকার গমের উপর আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমিয়ে শূন্য করতে পারে, যাতে সস্তায় গম আমদানি নিশ্চিত করা যায়। হ্রাস পেতে পারে ভোজ্য তেলের উপর আমদানি শুল্কও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেন। তিনি জানান, দেশের মানুষকে মুদ্রাস্ফিতী থেকে মুক্তি দিতে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পরই আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই কেন্দ্র বড় সিদ্ধান্ত নেবে যাতে মুদ্রাস্ফিতী হ্রাস করা যায়।
সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে শীঘ্রই পেট্রোল-ডিজেলের উপর আবগারি শুল্ক হ্রাস করতে পারে কেন্দ্র। বর্তমানে প্রতি লিটার পেট্রোলে ১৯.৯০ টাকা এবং প্রতি লিটার ডিজেলে ১৫.৮০ টাকা আবগারি শুল্ক নেয় কেন্দ্র।
এমতঅবস্থায় পেট্রোল-ডিজেলের উপর কর কমানো হলে সাধারণ মানুষের বড় ধরনের স্বস্তি আসবে, যার ফলে মালবাহী খরচও কমবে। এছাড়াও গমের উপর আমদানি শুল্ক কমাতে পারে কেন্দ্র। গমে ৪০ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হয়। সূত্রের খবর এই শুল্ক শূন্য করতে পারে মোদি সরকার। ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্কও কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্লুমবার্গ রিপোর্ট অনুযায়ী পেট্রোল-ডিজেল, গম এবং ভোজ্য তেলের উপর শুল্ক হ্রাস করলে সেক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা কমে যাবে। এমতঅবস্থায় রাজস্ব ঘাটতি পূরণে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য বিভিন্ন মন্ত্রালয়ের বাজেট কমিয়ে তা সম্পন্ন করার কথা ভাবা হচ্ছে। জুলাইয়ে ক্ষুদ্র মুদ্রাস্ফিতীর হার ৭.৪৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ১৫ মাসে সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে, খাদ্যপণ্যে মুদ্রাস্ফিতীর হার দাঁড়িয়েছে ১১.৫১ শতাংশে, যার থেকে বোঝা যায় মুদ্রাস্ফিতী সাধারণ মানুষকে কতটা আঘাত করেছে। মোদি সরকার ২০২৪-এ কামব্যাক করার প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করেছে, এমতঅবস্থায় সাধারণ মানুষের মন জয় করে ভোটব্যাঙ্ক বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে।