পুবের কলম প্রতিবেদক: বেনজির সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এবার নিজেদের নিয়োগ নিজেরাই বাতিল করল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট ছাড়া চাকরি পাওয়ার অভিযোগে একই সঙ্গে ২৪ শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল করেছে পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সময়েই নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
উৎসবের মরসুমে চাকরি হারিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় পড়েন এই ১৪ শিক্ষক-শিক্ষিকা। টেট না পাশ করেও ১ জন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনা এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের হলফনামা তলব করেন। আদালতে পেশ করা হলফনামায় পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ১৬ জনকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকদের নথি পেলের জা বেঁধে দিয়ে বিচারপতি নির্দেশ দেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যথোপযুক্ত নবি দেখাতে না পারলে ১৬ জনের চাকরি বাতিল হবে। এর পরেই ২৬ জন তাদের নথি পেশ করেন।
এই নথিতে ১৪ জনের নিয়োগে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণ হয়। গতকাল শুক্রবার রাতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে ২০১৪-বার টেট এবং ২০১৮-এর নিয়োগ হওয়া ২৪ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের কথা জানিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানদের চিঠি পাঠানো হয়। সোমবার থেকেই চাকরি বাতিলের নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির নির্দেশ মেনেই ১৪ শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান গৌতম পাল এ বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাননি। ধারাণা করা হচ্ছে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে সে বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাকতে এই ধরনের পদক্ষেপ নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।