পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের চলমান বিমান হামলায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলে ও কয়েকজন নাতি-নাতনি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত তিন সন্তানের নাম- হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ। তবে ছেলেদের হত্যার বিষয়টি যুদ্ধবিরতিতে প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন হামাস প্রধান। এএআই গাইডেড মারণাস্ত্র দিয়ে এই হত্যালীলা চালিয়েছে ইসরাইল। এমন হত্যাকাণ্ডের পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছে ইসরাইল ও সে দেশের মিডিয়া। কিন্তু এরপরও মাথা নিচু করছেন না হামাস নেতা। তিনি অকুতভয়। নির্ভিক। শাহাদাত তাঁর ও তাঁদের কাছে পুরস্কার।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসমাইল হানিয়া বলেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনার প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতেই এমন হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। যদি তারা মনে করে এই হামলার পর হামাসের অবস্থান বদলে যাবে, তাহলে সেটি তাদের অলীক কল্পনা। শহীদদের রক্ত এবং আহতদের বেদনা দিয়ে আমরা আশা তৈরি করি, আমরা ভবিষ্যত তৈরি করি, আমরা আমাদের জনগণ এবং আমাদের জাতির জন্য স্বাধীনতা তৈরি করি। ’
কাতার থেকে হানিয়া বলেন, আল্লাহ আমার তিন সন্তান ও কয়েকজন নাতি-নাতনির শহীদ হাওয়ার যে সম্মান দিয়েছেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার ছেলেদের শহীদের সম্মান দেওয়া হয়েছে। তারা গাজায় আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গেই রয়ে গেছে। তারা চলে যায়নি এবং পালিয়েও যায়নি। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলের হামলায় হানিয়ার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। তাঁর আর এক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাইপো অক্টোবরে প্রাণ হারান। এরপর নভেম্বরে তাঁর এক নাতি নিহত হন।
গাজার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম হানিয়া জানিয়েছে, ঈদের দিনে একটি বেসামরিক গাড়িতে চড়ে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইসমাইল তাঁর ছেলে, নাতি-নাতনিরা। এ সময় ওই গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরাইলি জঙ্গিবিমান থেকে হামলা চালানো হয়। হানিয়া বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট এবং আমরা সেগুলোতে কোনো ছাড় দেব না। শত্রুরা যদি মনে করে, আলোচনা যখন গতিশীল হয়েছে এবং হামাস যখন তাদের অবস্থান জানাবে, এমন সময়ে আমার ছেলেদের লক্ষ্যবস্তু বানালে হামাস অবস্থান পরিবর্তন করবে, তাহলে তারা কল্পনার জগতে রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের রক্ত আমার ছেলেদের রক্তের চেয়ে আমার কাছে কম কিছু নয়।’