কৌশিক সালুই বীরভূমঃ বন্যা পরবর্তী সময়ে জল যন্ত্রণা থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ বীরভূম জেলা প্রশাসনের। কবলিত এলাকার ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত নিরূপণ করে উপযুক্ত পুনর্বাসন এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আপৎকালীন সহায়তা হিসেবে পর্যাপ্ত খাবার, বেবি ফুড, পানীয় জল, জামাকাপড়, ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে আক্রান্ত মানুষজনদের। বর্তমান করোনা মহামারী কালে স্বাস্থ্য বিষয়ে কড়া নজরদারি রেখেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে সদ্য হয়ে যাওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে বীরভূম জেলার হিংলো এবং অজয় নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে বীরভূম তথা বাংলার সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী ঝাড়খন্ড রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে সংশ্লিষ্ট নদী গুলিতে ব্যাপক জলস্ফীতি হয়েছে। এই অকাল প্রাকৃতিক দুর্যোগে বীরভূম জেলার খয়রাশোল, দুবরাজপুর ইলামবাজার, নানুর ব্লক এলাকার ১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১ টি গ্রামের ১৩৩টি মৌজা এলাকার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
এর ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার ১৮ হাজার ৬৮০ হেক্টর কৃষি জমির মধ্যে মধ্যে শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪হাজার ৯৫০ হেক্টর জমির ফসল। তারমধ্যে ৩৩% নিচে আছে তিন হাজার ৪০০হেক্টর এবং ৩৪ শতাংশ বা তার বেশি ১২ হাজার হেক্টর। এছাড়া বন্যা কবলিত সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলির বহু বাড়ি পূর্ণ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট ক্ষয়ক্ষতি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং সেই রিপোর্ট পর্যায়ক্রমে নবান্নে নিয়মিত পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও বন্যাকবলিত এলাকার বর্তমান বর্তমান করোনা অতি মারি পরিস্থিতিতে যাতে জল বাহিত বা পতঙ্গবাহিত অন্যান্য রোগ মহামারী আকার ধারণ করতে না পারে তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় বীরভূম স্বাস্থ্য জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিনিধিরা এলাকায় গিয়ে নিয়মিত নজরদারি শুরু করেছে। এই সময় ভেঙে যাওয়া নদীর বাঁধ এবং পাড় চিহ্নিত করে দ্রুত মেরামতের জন্য জেলাশাসক সেচ দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বর্তমান সংকট ময় পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত খাবার বেবি ফুড পরিস্রুত পানীয় জল জেলা প্রশাসন এবং শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় ত্রাণশিবির খুলে রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে। জেলাশাসক বিধান রায় বলেন,” এইসময় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের চাহিদামত খাদ্য সামগ্রী ত্রিপল জামাকাপড় বেবি ফুড দেওয়া হচ্ছে এবং যে সমস্ত ঘর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে ও চাষবাসের ক্ষতি হয়েছে তারা নিয়ম মত সরকারি সহায়তা পাবেন”।