সুবিদ আবদুল্লাহ্
বেতের বোনা নয় – বাংলার বাঁশের বোনা ধামা-কুলো পাড়ি দিচ্ছে ভিন্ রাজ্যে। এনায়েতপুরের দিনেশ ভগৎ– দীপক ভগতের বাঁশের তৈরি হাতের কাজ কদর পাচ্ছে ভিন্ রাজ্যে।
মালদার মাণিকচক থানার এনায়েতপুর গ্রাম। বাসস্ট্যাণ্ডের অদূরে আদিবাসী পাড়ার ঘরে ঘরে তৈরি হচ্ছে ‘মাকলা’ বাঁশের কুলো– ধামা– বিয়ের বরনডালা– বিয়ের তত্ত্ব সাজানোর ডালা। গ্রাম থেকে যাচ্ছে মালদা শহর। সেখান থেকে বিহার– ঝাড়খণ্ড হয়ে অন্যান্য রাজ্যের গ্রাম্য-গৃহিনীদের গৃহকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এই সব সরঞ্জাম। ভিন্ রাজ্য থেকে অর্থ আসছে আমাদের রাজ্যে।
এ ব্যাপারে ‘বাঁশের বেত শিল্পী’ কুশাণ রজক জানালেন– তিরিশ বছর ধরে বাঁশের কাজ করছি। এটা করেই আমাদের জীবন-জীবিকা চলে। তিনি আরও জানান– কষ্ট করেই সংসার চালাতে হয় আমাদের। কারন এই ব্যবসায় লাভ কম। তা ছাড়া শহরে এখন প্লাসটিক এসেছে। ফলে বাঁশ– বেতের জিনিস গৃহিনীরা আর ব্যবহার করছেন না। যেটুকু চল আছে তা গ্রামে। ফলে শহর ছেড়ে আমাদের গ্রামে ছুটতে হয় বিক্রির জন্য। সম্প্রতি ভিন্ রাজ্যে এই কাজের অর্ডার আসার পর আমরা স্বচ্ছল হয়েছি।
এনায়েতপুর ইএ ইনস্টিটিউশনের গেটে বসে বাঁশ থেকে সরু ‘বাতা’ বের করে ঝুড়ি তৈরির উপযোগী করে তুলছিলেন দীপক ভগৎ। তিনি জানালেন– ওই জিনিষ তৈরি করতে মাকলা বাঁশই উপযুক্ত। যে বাঁশ পাওয়া যায় মাণিকচক ব্লকেই। মাণিকচক ব্লকের আদিবাসী সমাজের কয়েক হাজার মানুষ এই পেশায় জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে কাঁচামাল সংগ্রহে ইদানিং বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। পুঁজি নেই আমাদের। ক্ষুদ্র ঋণ পেলে ব্যবসা বাড়ে। কিন্তু ব্যাঙ্ক আমাদের ঋণ দেয় না। রাজ্যের নেত্রী মমতাদিদি উদ্যোগ নিলে আমরা ঋণ নিয়ে ব্যবসা বাড়াতে পারি।