পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : লোকসভা ভোটের আগে একের পর এক চমক মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের। লক্ষ লক্ষ মানুষের ধর্মীয় আবেগকে জাগিয়ে সম্প্রতি রাম মন্দির উদ্বোধন হয়েছে। এবার বিহারের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী, দলিত সমাজবাদি নেতা কর্পুরি ঠাকুরকে ‘মরনোত্তর ভারতরত্ন’ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। কর্পুরি ঠাকুরের মৃত্যুর ৩৫ বছর পর তাঁকে এই সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেছে কেন্দ্র সরকার। ১৯৮৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন দেশের প্রথম এই অকংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরি ঠাকুর।
বিরোধীদের বক্তব্য নির্বাচনের আগে দলিত ভোট টানতেই কর্পুরি ঠাকুরকে ভারতরত্ন দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত। কর্পুরি ঠাকুরকে ‘মরনোত্তর ভারতরত্ন’ উপাধি দেওয়ার কথা তাঁর জন্মশতবার্ষিকীর একদিন আগে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ভবনের এই ঘোষণায় তিনি খুশি। দেশের অন্যতম জননায়ক কর্পুরি ঠাকুর এই সম্মানের যোগ্যতম ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, কর্পুরি ঠাকুর ভারতের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ এবং বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বিহারের সমষ্টিপুরে জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৪ সালের ২৪ জানুয়ারি । সামাজিক ন্যায়বিচারের সমার্থক নাম হল কর্পুরি ঠাকুর। উত্তর ভারতে অনগ্রসর শ্রেণী ও বিহারের রাজনৈতিক ভূখণ্ডে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। নাপিত সম্প্রদায়ের গোকুল ঠাকুর এবং রামদুলারী দেবীর ঘরে তাঁর জন্ম। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন এবং ২৬ মাস জেলে ছিলেন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। তিনি টানা চারবার বিধানসভার সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে, তাকে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হয় এবং ১৯৭০ তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন। কর্পুরি ঠাকুর, বিহারের দ্বিতীয় উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং তারপরে দুবার মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হন। ১৯৭০ সালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর কার্যকাল ছিল যুগান্তকারী। বিশেষত সমাজের বঞ্চিত সমাজের পাশে ছিলেন তিনি। কর্পুরি ঠাকুরকে জননায়ক বলা হত।