দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন: আদালতের নির্দেশ মেনে অবস্থান মঞ্চ খুলে নিলেন আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা। পাশাপাশি ক্নাস করার আবেদন জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ইমেইল করলেন তারা। যদিও তার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত কোনও সাড়া মেলেনি বিশ্বভারতীর তরফে।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়াকে অবিলম্বে ক্লাসে যোগ দেওয়ার অনুমতি দিতে হবে। সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল ওই পড়ুয়ারা যেন আজ, বৃহস্পতিবার, থেকেই ক্লাসে যোগ দিতে পারে।
পাশাপাশি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তীব্র ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট বলে যে উপাচার্য যদি নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করেন তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আদালত।
আদালতের নির্দেশ মেনে অবস্থান মঞ্চ থেকে ফেস্টুন ব্যানার সরিয়ে নিয়েছে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। অনশন প্রত্যাহার করেছে বহিষ্কৃত ছাত্রী রুপা চক্রবর্তী।
আদালতের রায়ের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তিন ছাত্র ছাত্রীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে তাদেরকে ক্লাসে যোগ দেওয়ার অনুমতি পত্র দেয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
বহিষ্কৃত ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেন, “আদালতের নির্দেশ মেনে আমরা আমাদের আন্দোলন মঞ্চ থেকে সমস্ত ব্যানার পোস্টার সরিয়ে ফেলেছি। এখন আমরা অপেক্ষা করছি বিশ্বভারতীর তরফ থেকে কখন আমাদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। আমরা ইতিমধ্যেই আইন মেনে ইমেল করে আবেদনও পাঠিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য এখনও পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ক্লাসে যোগ দেওয়ার কোনও অনুমতি পত্র দেওয়া হয়নি।”
উল্লেখ্য, ২৭ অগাস্ট এই অবস্থান শুরু হয় উপাচার্য পূর্বিতার গেটের সামনে অস্থায়ীভাবে। ২৮ অগাস্ট তৈরি হয় পরিপূর্ণ মঞ্চ। আবার পঁয়ষট্টি মিটার দূরে মঞ্চ সরে আসে হাইকোর্ট নির্দেশ মোতাবেক। ফের মঞ্চ বাঁধা হয় ৫ সেপ্টেম্বর। শুরু হয় অনশন। শেষসমেশ ৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের অন্তর্বর্তী শুনানিতে পড়ুয়ারাদের জয় হয়। ৯ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের গৃহের সামনে মঞ্চ বেলা ৪টে নাগাদ খুলে ফেলা হয়। ১২ দিন পর অবস্থান মঞ্চ এবার খুলে ফেলা হল।