পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার তৈরি সিরাপ খেয়ে গাম্বিয়ায় শিশুর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে চাপান-উতোর তৈরির পর ফের চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে ‘ সিরাপ’ নিয়ে। এবার ফের ভারতীয় সংস্থার তৈরি ক্ষতিকারক সিরাপ পাওয়া গেল মার্শাল আইল্যান্ড ও মাইক্রোনেশিয়ায়। বিশ্ব সংস্থা ‘হু’ এর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
তবে এই ঘটনায় কোনও শিশুর শরীর খারাপ বা মৃত্যু হয়েছে কিনা সেই সম্পর্কে এখনও কিছু জানানো হয়নি। এই দিন ‘হু’-এর তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আমদানি করা একটি কাশির সিরাপ থেকে একটি স্যাম্পল পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেটি সংক্রামিত। ওষুধটির নাম ছিল গুয়াইফেনিসিন সিরাপ, টিজি সিরাপ যার মধ্যে অস্বাভাবিক মাত্রায় ডাইইথিলিন গ্লাইকল ও ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গেছে। উপাদানদুটি শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। যা শিশুদের জন্য ভয়ঙ্কর। অস্ট্রেলিয়ার ওষুধের গুণমান যাচাইকারী সংস্থা থেরাপিউটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরীক্ষায় ধরা পড়েছে এই সংক্রমণ।
ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার সংস্থায় তৈরি কাশির সিরাপ নিয়ে এই নিয়ে তিনবার হু-এর তরফে বিবৃতি জারি করা হল। এই সিরাপগুলির তৈরির নেপথ্যে রয়েছে ভারতীয় ও ইন্দোনেশীয় সংস্থা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে এই সিরাপের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩০০ শিশুর। গাম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, উজবেকিস্তানের এই শিশুদের বেশিরভাগেরই বয়স ছিল পাঁচ বছরের নিচে।
সাম্প্রতিক বিবৃতিতে যে ওষুধের কথা বলা হয়েছে, সেই ওষুধের নির্মাতা সংস্থা ভারতের পঞ্জাবের কিউপি ফার্মাকেম লিমিটেড। সংস্থার ওষুধ বিপণনের দায়িত্বে ছিল হরিয়ানার ট্রিলিয়াম ফার্মা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওষুধগুলির নিরাপত্তা সম্পর্কে এই দুই সংস্থা কিছুই জানায়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে।
কিউপি ফার্মার ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সুধীর পাঠক রয়টার্সকে বলেন, রফতানি করা ব্যাচ থেকে একটি স্যাম্পল পরীক্ষা করার পর তা ঠিক বলে মনে হয়েছিল, ওষুধ নির্মাতা সংস্থার। ভারতেও কোনও জায়গা থেকে এখনও এই সিরাপের কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে ‘হু’ সংক্রামিত ওষুধ এড়াতে রফতানিকারি দেশগুলিকে আরও কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।